পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ‘স্বীকারোক্তি’ দিলেন শিক্ষক
ডেস্ক রিপাের্ট : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম পঞ্চম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে স্বীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেমকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় আনা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজের আদালতে জবানবন্দি দেয় তিন শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি ‘ভুল’ করেছেন। তিন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। আবুল হাশেমকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে। গত সোমবার রাতে নির্যাতিতার স্বজনরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর গত
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে তাকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ছুটির পর ৫ম শ্রেণীর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতেন। এ সময় কয়েকজন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। এ ঘটনা জানার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন –
কর্ণফুলীর পশ্চিম চরপাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম পঞ্চম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দুরন্ত দুর্বার নামে একটি সংগঠন। গতকাল বুধবার সকালে কর্ণফুলী থানার সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি এম মুছা সিকদারের সভাপতিত্বে ও রমজান আলী রমুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব চৌধুরী, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মালেক রানা, শাহ নেয়ামত গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ মীর আহমদ, স্টুডেন্ট কেয়ার মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ নুর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘মহান শিক্ষকতা পেশাকে যারা কলংকিত করেছে, তাদের যেন প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। তা না হলে এরূপ অপকর্ম দিন দিন বাড়তে থাকবে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক যাতে ছাড়া না পায়, সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।’