খালেদার আইনজীবীরা ছুটির আগে শুনানি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত
নিজস্ব প্রতিবেদক : এপ্রিলের মাঝামাঝি তিন সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছে উচ্চ আদালত। বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের শুনানি এর আগেই করার আবেদন জানিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা।
দুদকের আবেদন গ্রহণ করে আজ সোমবার সকালে আপিল বিভাগ প্রথমে ২২ মে শুনানি এবং তত দিন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের নির্দেশ দেয়।
পরে এজলাসে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদেন শুনানি দুই সপ্তাহ এগিয়ে ৭ মে নির্ধারণ করা হয়। তারপরও বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ছুটি শুরু হওয়ার আগে শুনানি করার আবেদন জানান।
আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে পাঁচ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় অবকাশকালীন কিছু বেঞ্চ ছাড়া বাকি আদালত বসবে না।
বিএনপির আইনজীবীরা চাইছেন এই দীর্ঘ ছুটির আগেই দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি হোক। আর সকালে আপিল বিভাগের আদেশের দুই ঘণ্টার মধ্যে তারা আবারও এই আবেদন দিয়ে যান আপিল বিভাগ।
বেলা সাড়ে ১১ টার পর খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান। এ সময় আদালত কক্ষে ডায়াসের সামনে দাড়িয়ে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আদালতের কাছে আমাদের বিনীত আবেদন, সকলের পক্ষ থেকে কড়জোরে আবেদন করছি খালেদা জিয়ার মামলা ভ্যাকেশনের আগেই শুনানির দিন ধার্য করা হোক।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৮ মে দিন ধার্য করেছি। আমরা প্রথমে যে আদেশ দিয়েছিলাম আপনাদের অনুরোধে পুনঃ বিবেচনা করেছি। আদেশ হয়ে গেছে, এখন আর পরিবর্তন সম্ভব নয়।’
এরপরও জমির উদ্দিন সরকার শুনানির দিন এগিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি ৮ মে এই মামলা শুনানির জন্য তালিকায় শীর্ষে থাকবে। বিরতিহীন শুনানি হবে। ৮ মে না হলেও ৯ মের মধ্যে এই মামলা নিস্পত্তি করব।’
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করা এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদিন, মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।