সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে অভিনেতা দিলীপ কুমার
বিনােদন ডেস্ক : পালি হিলের বিলাসবহুল বাংলোর মালিকানা কার? এই নিয়ে প্রভাবশালী এক প্রমোটারের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন প্রবীণ অভিনেতা দিলীপ কুমার ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। রোববার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতের কলকাতা২৪ পত্রিকা।
.
গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে চিঠি লেখেন অভিনেতার স্ত্রী সায়রা বানু। চিঠিতে তিনি ওই প্রমোটার সমীর বোজওয়ানির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পালি হিলের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। সায়রা বানু বলেন, ‘অভিযুক্ত আমাদের হেনস্থা করছে। তার প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর। তিনি খুব ভালো করেই জানেন দিলীপ কুমারের বয়স ৯৪। এই বয়সে তিনি এত চাপ নিতে পারছেন না। ওই প্রমোটার খুব প্রভাবশালী।’
এদিকে অভিযুক্ত প্রমোটার সমীর ভোজওয়ানিও তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে ওই সম্পত্তির আসল দাবিদার জানিয়ে বলেন, ‘দিলীপ কুমার ভাড়াটে মাত্র। ১৯৫৩ সাল থেকে ওই বাংলোতে আছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে আমার বাবা ওই সম্পত্তি কিনে নেন। তখন অভিনেতা হয়ে যান লিজ হোল্ডার। বাবার মৃত্যুর পর এখন আমি ওই সম্পত্তির মালিক।’
পালি হিলের কাছে প্রায় হাফ একর জমির উপর বাংলোটি নির্মিত। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ২৫০ কোটি টাকা। ১৯২০ সালে বাংলোটি তৈরি করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে সেটি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ওই প্রমোটার অভিযোগ করে বলেন, অভিনেতা লিজের চুক্তি ভঙ্গ করে বাংলোটি নতুন করে তৈরির জন্য অন্য এক প্রমোটারের সঙ্গে চুক্তি করেন। যদিও ওই প্রমোটারের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে অভিনেতা ওই প্রজেক্ট থেকে সরে আসেন। তখন ওই প্রমোটার অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট অভিনেতাকে ওই প্রমোটারকে ২০ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তারপরেও অন্য এক প্রমোটারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন দিলীপ কুমার। টোকেন মানি বাবদ অভিনেতাকে ১১ লক্ষ টাকাও দেন তিনি। এরপর গত বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন সায়রা বানু। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রমোটার সমীর বোজওয়ানির বিরুদ্ধে ডকুমেন্ট জাল করে দিলীপ কুমার ও তাকে সম্পত্তি থেকে উৎখাত করার অভিযোগ এনেছেন। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে বোজওয়ানি জানান, দিলীপ কুমার নিজেকে ওই সম্পত্তির মালিক বলে যে দাবি করছেন তা সম্পূর্ণ ভুল।