দ্বিতীয় বিয়ে করায় সাবেক নায়েবে আমির আতাউর রহমানকে বহিষ্কার করল জামায়াত
ডেস্ক রিপাের্ট : জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আতাউর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার রুকনিয়াত (সদস্য পদ) বাতিল হয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
দলটির সূত্র জানায়, শনিবার কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা বহিষ্কারের অনুমোদন করেছে। সারাদেশে অঞ্চল ভিত্তিক অনুষ্ঠিত শূরার বৈঠকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
তবে জামায়াতের আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, দলীয় নির্দেশে পদত্যাগ করেছিলেন আতাউর রহমান। তা মজলিশে শূরায় অনুমোদিত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল আতাউর রহমানকে। তবে তার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য পদ বহাল ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বিবৃতিতে আতাউর রহমান দাবি করেছিলেন, তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়নি।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১১ এপ্রিল রাজশাহীর রশিদা বেগম (৫২) নামের এক নারীকে বিয়ে করেন আতাউর রহমান। রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাহ নিবন্ধক ও কাজী আবদুস সাত্তারের কাছে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের কাবিন (নম্বর ০৬/২০১৬) হয়।
যৌতুক দাবির অভিযোগে গত ৪ জুলাই রাশিদা বেগম রাজশাহী মহানগর মূখ্য হাকিমের আদালতে আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেছেন। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির থাকাকালে ২০১৫ সালে রাশিদা বেগমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন আতাউর রহমান।
গত বছরের নভেম্বরে গঠিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নায়েবে আমিরের পদ পান আতাউর রহমান। ৬৫ বছর বয়েসী এ নেতা অতীতে কখনো কেন্দ্রীয় দায়িত্বে ছিলেন না। মহানগর আমির থেকে দলের নায়েবে আমির পদ পাওয়ায় তা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
আতাউর রহমানের বহিষ্কার প্রসঙ্গে জামায়াতের কোনো নেতা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। বারবার চেষ্টা করেও আতাউর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।