এই ফলাফলও হতাশার নয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক : দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩৩৩ রানে বাংলাদেশের পরাজয়কে শোচনীয় মনে হলেও স্বস্তিও খুঁজে পাওয়া যায় এই হারে। টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর দলের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিলো না। সেই ইনিংসে হার এড়িয়ে মুশফিকরা হেরেছে রানের ব্যবধানে। বিশ্বসেরা টেস্ট দল দক্ষিণ আফিক্রার বিরুদ্ধে এই পারফরমেন্সও স্বস্তিদায়ক।
টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বর্তমানে যে মর্যাদা বহন করছে, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই টেস্ট ড্র্ও হতে পারতো। প্রথম ইনিংসে ৩২০ রান করে ড্রর আশা জাগিয়েছিলো মুশফিকবাহিনী। কিন্তু ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং আর সহনশীলতার অভাবে টাইগার ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়লেন। টাইগার সমর্থকরাও মুশফিকদের কাছ থেকে লড়াই আশা করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে লড়াইয়ের ছিঁটেফোটাও উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ সোমবার টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিন ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হলো ৯০ রানে। ফলে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
৪২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ গত রোববার ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান সংগ্রহ করে। টেস্টের শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ মিনিটের ব্যবধানে আরো চার উইকেট হারিয়ে নিজেদের বড় পরাজয় ডেকে আনে টাইগাররা। পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনের শুরুতে ৩২০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৭৬ রানে লিড পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা রোববার ৬ উইকেটে ২৪৭ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করলে বাংলাদেশের সামনে ৪২৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড়ায়। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যায় মুশফিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ইমরুল কায়েস। এছাড়া মুশফিক ১৬ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১৫ রান। তামিম ইকবাল (০), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯), লিটন দাস (৪), সাব্বির রহমান (৪) ও মুমিনুল হকের (০) নামের পাশে মোবাইলের ডিজিট। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ চারটি এবং ক্যাগিসো রাবাদা নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া মরনে মরকেল নেন দুটি উইকেট। শফিউল রান আউটের শিকার হন।