রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশের সুশীল সমাজের নীরবতা লজ্জার : এইচ টি ইমাম
ডেস্ক রিপাের্ট : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা আর প্রতিবাদ মুখর সারাবিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সুশীল সমাজের নীরবতা শুধুই লজ্জার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। আবার কেউ কেউ বলছেন, সন্ত্রাসীদের মৃত্যুতে যারা সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের এই নিরবতা দ্বীচারিতা ছাড়া আর কিছুই না। তাদের অভিযোগ, কথিত এসব সুশীলরা সরকারের বিরোধিতা আর সমালোচনা করা ছাড়া আর কিছুই জানেন না।
বিশ্ব রাজনীতির মাঠে আলোচনার প্রধান খোরাক জোগাচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বে সমর্থন জুগিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে চাপ দিতে নেয়া হচ্ছে কূটনীতিক তৎপরতা। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় যারা সোচ্চার থাকেন, তাদের নীরব ভূমিকা কড়া সমালোচনা করেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘সুশিল সমাজের উচিৎ উল্টা কথা না বলে রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলা। কেউ গুম হয়ে গেলে হুট করে তারা নানান কথা বলার জন্য তৈরি থাকেন। কিন্তু দেশের এত বড় একটা সমস্যা যাচ্ছে তা নিয়ে আমি দেখছি না কেউ কোন কথা বলছে। তাদের একটি বিবৃতিও চোখে পড়ছে না।’
এইচ টি ইমামের মতে, এর আগেও মিয়ানমার সরকারের কারণে রোহিঙ্গারা এদেশে এসেছে। আর আলোচনার মাধ্যমে ফেরতও নিয়েছে মিয়ানমার। তবে এবারের বিষয়টি গভীর ষড়যন্ত্রের। তিনি বলেন, ‘যেভাবেই হোক বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং ভারত একত্রে মিলে সমস্যাটা সমাধান করা যায়। কারণ ভারত সীমান্তেও এমন সমস্যার অংশ আছে।’
সুশীল সমাজের নীরবতা দ্বীচারিতা ছাড়া কিছুই না, উল্লেখ করে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এরা এই দেশের মানুষদের নিয়ে বেশি কিছুও বলতে পারে না, আবার দেশের স্বার্থেও কোন কথা বলে না।’
সরকার রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিলেও শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে বিশ্বাস করে তারা। এ সম্পর্কে এইচ টি ইমাম বলেন, সাময়িক কারণে প্রাণের ভয়ে এদেশে রোহিঙ্গারা চলে এসেছে। ফলে তাদের দেশে ফেরত মিয়ানমারকে নিতে হবে এবং তাদেরকে নিজের ভূমিতেই রাখতে হবে। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর