adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ষোড়শ সংশোধনী- ‘আ.লীগ নিজেই জানে না তারা কী বলছে’

FAKRULনিজস্ব প্রতিবেদক : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যা বলছে তা তারা নিজেরাই জানে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২৬ আগস্ট শনিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর কারামুক্তির পর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ফখরুল।

‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর বিএনপি যে স্বপ্ন দেখেছিল সেটি উল্টে গেছে' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা যে কথাগুলো বলছেন, আমার মনে হয় তারা নিজেরাই জানে না তারা কি বলছেন। এ রায়ের ফলে তাদের আসল  চেহারা পরিষ্কার বেরিয়ে এসেছে। জনগণ সেটা বুঝতে পেরেছে। এই কারণেই তারা এই সমস্ত অমূলক কথা বলছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ধরণের কথাবার্তা বলছে এবং তারা যে কার্যক্রম করছে আমি মনে করি তা আইনের শাসনবিরোধী এবং আদালত অবমাননার শামিল। তাদের প্রত্যেকটি নেতা প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলছে। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাষায় কথা বলছে।’

ফখরুল বলেন, ‘এদের (আওয়ামী লীগের) উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নষ্ট করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। যেটা এদেশের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। আমি মনে করি এ রায়ের প্রেক্ষিতে এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে বলে দিয়েছেন, এই সংলাপে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। কারণ তারা বলেছেন যে এটা তাদের দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। এখানে মূল যে সমস্যা রয়েছে, তা নিরসনে এই সংলাপ কোনো কাজ করবে না। অর্থাৎ সহায়ক সরকার এবং নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ পরিবেশের বিষয়টি কোনো সমাধান দিতে পারবে না।’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা লড়াই করবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার দেখা করার বিষয়টি বিএনপি কিভাবে দেখছে- জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনেও শুনিনি যে সরকারে যারা থাকে তারা কোনো রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে। এটার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করতে তারা চেষ্টা করছে। প্রধান বিচারপতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এটা কলঙ্ক।’

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া