বানভাসি মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রটিও পানিবন্দী!
ডেস্ক রিপাের্ট : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বানভাসি মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রটিও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে সেখানকার বানভাসি মানুষ শত কষ্টের মাঝেও আশ্রয় নিচ্ছেন সেখানে।
আশ্রয় কেন্দ্রটিতে প্রবেশ করতে পার হতে হচ্ছে কোমর পরিমাণ পানি পেরিয়ে। চারিদিকে পানি আর পানি। শুধু মানুষজনই নয়, সেখানে বানভাসি মানুষের সাথে আশ্রয় হয়েছে গবাদিপশুও।
তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় চর গোবরধন গ্রামের শতাধিক পরিবার এখনও অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
১৪ আগস্ট সোমবার সকালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন হায়দারীরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রটিতে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
এসময় কথা হয় মহিষখোচা ইউনিয়নের চরগোবরধন গ্রামের দুলাল মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩০) এর সাথে। তারা জানান, ৫ দিন চরাঞ্চলে অবরুদ্ধ থাকার পর সোমবার তারা সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় নৌকা চলাচল করতে পারেনি বিধায় তারা সেখানে আটকা পড়েছিলেন। তাদের মতে, এখনও সেখানে প্রায় শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদেরকে উদ্ধারে জোর দাবি জানান এ দম্পতি। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সাইফুল ইসলাম জানান, ''কোনটে যামো বাহে সউগটে খালি পানি আর পানি। হামার জীবনে এ্যাদোন পানি আর দেখি নাই হামরা। ''
এদিকে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর বাঁধটি ভেঙে গেলে বাঁধের ভাটিতে থাকা প্রায় এক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এলাকাবাসী জানান।
মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসি মানুষের জন্য ১৩ মেট্রিক টন চাল ও এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে তিনি দাবি করেন।