৪৭ শতাংশ কোম্পানির দর পতনেও ঊর্ধ্বমুখী সূচক
ডেস্ক রিপাের্ট : পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর ৪৭.৭০ শতাংশের দর পতনেও সপ্তাহের চুতর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এ সময় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক বেড়েছে ১৭.৩০ পয়েন্ট। ডিএসই ও সিএসইর বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, দর কমেছে ১৫৬টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ছিল ১ হাজার ৬২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০.০২ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫৯০.৬৬ পয়েন্টে স্থিতি পায়। এছাড়া শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ২.০৫ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ২.১৪ পয়েন্ট।
ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বারাকা পাওয়ার। দিনশেষে কোম্পানিটির ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া টার্নওভারে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ইফাদ অটোসের ৪২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অ্যাপলো ইস্পাতের ২২ কোটি ২ লাখ টাকা, জেনারেশন নেক্সটের ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ফরচুন সুজের ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ডোরিন পাওয়ারের ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও আমান ফিডের ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ১৭.৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৪৮৯.০৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৬টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১১৬ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪০ টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।