শশীকলা এখন কারাগারে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চেন্নাই থেকে সারাদিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা এখন বেঙ্গালুরুর কারাগারে। বুধবার সকালে বাদামী রঙ্গের শাড়ি পরে আত্মসমপর্ণের জন্য বেঙ্গালুরুর আদালতের পথে রওয়ানা হন শশীকলা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট শশীকলাকে ৪ বছরের কারাদ- দেয়। এরপরে শশীকলার পক্ষ থেকে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য চার সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত বুধবার তা নাকচ করে দেয়।
বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের সমন্বিত ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এ ব্যাপারে আমরা কোনো নির্দেশ দিতে চাই না। রায়েই যা বলার বলে দেয়া হয়েছে। তাতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তাকে দ্রুত বেঙ্গালুরু আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরেই শশীকলা বিশাল গাড়িবহর নিয়ে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান।
এদিকে, শশীকলা কারাগারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতেই তার বিরুদ্ধে কাঞ্চিপুরম থানায় অপহরণের অভিযোগ করেছেন মাদুরাইয়ের বিধায়ক এস এস সারাভানন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শশীকলাসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ, অপরাধমূলক হুমকির মামলা দায়ের করেছে। ওই বিধায়কের অভিযোগ, শশীকলা দলীয় বিধায়কদের একটি রিসর্টে জোর করে বন্দি করে রেখিছিলেন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পরে পনিরসেলভাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু দলীয় মহাসচিব শশীকলার চাপে তিনি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি এখন নির্বাহী মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার পরিবর্তে শশীকলা নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু বেঁকে বসেন পনিরসেলভাম। তাকে চাপ দেয়ায় তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন জানিয়ে তিনিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। এ নিয়ে শশীকলা এবং পনিরসেলভাম গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক টানাপড়েন চলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট শশিকলাকে ৪ বছরের সাজা এবং ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার বেঙ্গালুরুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যাওয়ার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শশীকলা বলেন, আদালত আমাকে কারাগারে পাঠালেও দলের প্রতি আমার ভালোবাসা কারাগারে নিতে পারবে না। আমি যেখানেই থাকি দলের সাথেই থাকবো। সূত্র: এনডিটিভি।