চলচ্চিত্রের উত্তরাধিকার রোসালিন যা বললেন
ইমরুল শাহেদ : চলচ্চিত্রের উত্তরাধিকার হিসেবে মিডিয়া গ্ল্যামারে পা রেখেছেন রোসালিন নুসরাত। তার পিতা নুর হোসেন বলাই ছিলেন একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার এবং মা শশী একজন পাকা অভিনেত্রী। একজন তুখুড় নাচিয়ে হিসেবে তিনি পারফর্মিং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হলেও তার মূল লক্ষ্য হলো বড় পর্দা। পিতার কর্মক্ষেত্রে স্বাধীন সত্তা নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে চান। চলচ্চিত্রে বলতে গেলে বেশির ভাগ লোকই তার পিতার সহকর্মী। তাই এই স্থানটিতে তিনি সেভাবে মর্যাদাও পাচ্ছেন। তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল পরিচালক সমিতির বনভোজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্বের একটি অনুষ্ঠানে। তিনি বনভোজনে নাচ পরিবেশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রোসালিন বলেন, ‘আমি কাজ করছি পারফর্মিং আর্টের বিভিন্ন শাখায়। কিন্তু আমার লক্ষ্য হলো বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া। জন্মের পর থেকেই চলচ্চিত্রের পরিবেশ দেখেছি। আমার মানসগঠনও হয়েছে সেভাবে। সেই অনুপ্রেরণা থেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর সে লক্ষ্যেই বলতে গেলে ছোটবেলা থেকে নাচ-গান শেখা।’
রোসালিনের মা শশী বললেন, আমাদের ইচ্ছা ছিল মেয়েকে ডাক্তারি পড়াব। সেজন্য এ লেবেলে সে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়েই পড়াশোনা করেছে। কিন্তু মেয়ের মাথায় মিডিয়ার পোকা। আমরা আর কি করতে পারি।
রোসালিন মাস্টারমাইন্ড থেকে এ লেবেল করেছেন। জানালেন, লেখাপড়া অব্যাহত থাকবে। তবে এখন তিনি অপেক্ষা করছেন চলচ্চিত্রে একটি যথার্থ সুযোগের জন্য। বাফা থেকে নাচ শেখা রোসালিন চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ের অনুষ্ঠান দিয়ে পারফর্মিং আর্টের জগতে পদার্পণ করেন। নাচের শিল্পী হিসেবে তিনি ভারত, জাপান ও মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
চ্যানেল আইয়ের রিয়ালিটি শো সিজন টুতে অংশগ্রহণের পর তিনি সরে আসেন অভিনয়ের দিকে। বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে চলো হারিয়ে যাই, নিড় খোঁজে গাংচিল, তুমি আমি ভীষণ একা, সংগ্রাম, রুপালি প্রান্তর, প্রেসিডেন্ট সিরাজ-উদ-দৌলা, শত্রু ও সোনার পাখি রুপার পাখি। তার অভিনীত টেলিফিল্মগুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু ভুল কিছু কষ্ট, জল যাত্রা এবং ডিএ তায়েবের তিনটি টেলিফিল্ম। এছাড়া কয়েকজন চলচ্চিত্রকার তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অচিরেই নতুন খবর হয়ে অগ্রযাত্রায় গতিশীল হবে রোসালিন নুসরাত।