হানিফের ঘােষণা – ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে নামতে দেওয়া হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে কোনো ধরনের কর্মসূচি জনগণ করতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তাদের কোনো কর্মসূচি পালনের অধিকার নেই। তাদের এদেশের মানুষ রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক যৌথ সভায় ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভার প্রস্তুতি নিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় হানিফ বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সাংবিধানকি ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচনই শুধু বর্জন করেনি, তারা নির্বাচন বানচাল করতে ৪৭ জন মানুষ হত্যা করেছিল। ৫ শতাধিক স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছিল। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দিয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা না হলে গণতান্ত্রিক অপশক্তি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করত। সেই নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি মানুষ হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা চেষ্টার জন্য বিএনপি অভিযুক্ত। সেই বিএনপি ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের নামে রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে চাইলে জনগণ মেনে নেবে না।’
জঙ্গি দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর বিএনপি নেতারা মায়া কান্না ও আহাজারি করেন অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, ‘যখন তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল তখন কোথায় ছিল এ মায়া কান্না। তাদের পেট্রোল বোমা থেকে শিশুও রক্ষা পায়নি। বিএনপি নেতাদের এই আহাজারিতে প্রমাণ হয় জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে।’
বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘২০১৯ এর শুরুতে অথবা ২০১৮ সালের শেষ পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হঠকারী রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন। ভুল রাজনীতি করে দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না।’
এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে জনসমুদ্রের পরিণত করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সমবেত করার আহ্বান জানান।