‘মাদ্রাসায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ মেনে নেওয়া হবে না’
ডেস্ক রিপাের্ট : মাদ্রাসা প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে তাদের দেয়া সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের নেতারা জানান, ‘মাদ্রাসায় সরকারি কোন নিয়ন্ত্রণ তারা মেনে নেবেন না।’
সম্মেলনে মিস্টার করীম বলেছেন, ‘মাদ্রাসাগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের যে সনদ দেয়া হয় তার স্বীকৃতি দিতেই হবে রাষ্ট্রকে।’
২৯ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকায় এক মাদ্রাসা প্রতিনিধি সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন নেতারা।
সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, দাবি আদায়ের জন্য নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ঘুচিয়ে হেফাজতে ইসলামের প্রধান মাওলানা আহমদ শফির নেতৃত্বেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
দেশজুড়ে ব্যক্তি বা স্থানীয় উদ্যোগে স্থাপিত কওমী মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাস কিংবা প্রশাসনিক বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোন কিছুতেই সরকারি কোন নজরদারি কিংবা তত্ত্বাবধানের সুযোগ নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের প্রধান মাওলানা আহমদ শফির নেতৃত্বে ইসলামপন্থীদের একটি কমিশনও হয়েছে যারা সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
মিস্টার শফির ঘনিষ্ঠ মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলছেন, বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলো ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসাকে অনুসরন করে। তারা সিলেবাস, পরিচালনা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই স্বাধীনভাবেই কাজ করতে চায়।
চরমোনাই পীর আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। অনুষ্ঠানে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে মাওলানা আহমদ শফীর নেতৃত্বে সরকারের সাথে যে আলোচনা চলছে তাতে বিভেদ ভুলে সব পক্ষকেই সম্পৃক্ত হতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বলছেন, মাদ্রাসাগুলোর সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের কোন আপত্তি নেই। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে অনেক মাদ্রাসা আছে। অনেক বোর্ডও বিভক্ত। আমরা মনে করি এটা সার্বিক শিক্ষার অঙ্গ এবং এটাকে এগিয়ে নেয়া দরকার। তবে কওমী মাদ্রাসার সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি দেয়া জরুরী। তারা যেভাবে চাইবেন সেভাবে দিতে আমরা রাজী আছি।”
তবে মাদ্রাসাগুলোতে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বা এর প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের কোন ভূমিকা থাকবে না নাকি বর্তমান ধারাতেই কওমী মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হওয়াকে সরকারও মেনে নেবে-এসব বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।