দিনাজপুরে গুলিবিদ্ধ ৩ লাশ : নিহতরা সবাই যুবলীগ নেতা
ডেস্ক রিপাের্ট : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ যুবকের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই নাটোর পৌর যুবলীগের নেতাকর্মী। তাদের পরিবার থেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাটোর পৌর যুবলীগ।
নিহতরা হলো- নাটোর পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও শহরের কানাইখালী এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে রেদওয়ান সাব্বির, একই এলাকার হাফেজ লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ ও শহরের কালুর মোড় এলাকার কালু মিয়ার ছেলে সোহেল রানা। তাদের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় একাধিক মামলা ও নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারন ডায়েরি আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ, স্থানীয়রা জানান, ৩ ডিসেম্বর শনিবার রাতে উপজেলার তকিয়া বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা সাব্বির তার দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ ও সোহেল একটি দোকানে চা পান করছিল। পরে রাত ১১টার দিকে সেখানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ে ১৫/১৬ জন দুর্বৃত্তরা তাদের মারপিট করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদের খোঁজ না পেয়ে সাব্বিরের মা রুখসানা বেগম নাটোর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছিল যুবলীগ।কিন্তু তার আগেই সোমবার সকালে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের সংবাদ প্রচার হয়। তা দেখে পরিবারের লোকজন সদর থানার মাধ্যমে দিনাজপুরের সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নিয়ে ওই লাশ গুলোর ব্যাপারে নিশ্চিত হন। সংবাদটি নাটোরে পৌঁছলে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়।
এদিকে নিহতের এ ঘটনার পর সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর যুবলীগ। এতে যুবলীগ নেতারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, যারা যুবলীগের তিন কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব, সদর যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক সাঈম হোসেন উজ্জল ও যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুল ইসলাম বুলেট প্রমুখ।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নিহত সাব্বিরের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যাসহ ১২টি, সোহেলের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আছে। তবে নিহত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। এছাড়া নিখোঁজের পর সাব্বিরের মা বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলে তিনি জানান।