ঢাকার কাছে হেরে বিপদে রংপুর
ক্রীড় প্রতবিদেক : ঢাকা ডায়নামাইটসের ১৮৮ রানের ইনিংস দেখে চোঁখ যেনো কপালে উঠে যায় রংপুর রাইডার্সের। অবস্থাটা এমন, খেলার আগেই হেরে বসে আছে রংপুরের দলটি। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। তারা ৪২ রানের বড় ব্যবধানে ঢাকার কাছে হেরে গেছে। পরের দুটি ম্যাচ জিতলেও সেমিতে উঠার সম্ভাবনা থাকবে না উত্তরাঞ্চলের দলটির।
আজ ৩০ নভেম্বর বুধবার মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান করে। জবাবে ১৪৬ রানে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই কক্ষচ্যুত হয় রাইডার্সরা। আবু জায়েদ রাহীর ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শহীদ আফ্রিদি। তৃতীয় ওভারে মিঠুনকেও ফেরান রাহী। ষষ্ঠ ওভারে রুপাসিংহেকে ফেরান সাকিব। অষ্টম ওভারে নাসির জমশেদকে ফিরিয়ে রংপুরের হারটা নিশ্চিত করেন ডায়নামাইটসের অধিনায়ক।
এরপর লোয়ার অর্ডারে সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান চেষ্টা করলেও সেটা কেবল নিয়মরক্ষার জন্যই। তবে দারুণ বাটিং করেছেন এই দুজন ব্যাটসম্যান। ৩৬ বলে ৬টি চার ও দুটি ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা জিয়া করেন ৬০ রান। এছাড়া ৩৬ রান করেন সোহাগ গাজী। এর আগে এভিন লুইস ও মেহেদী মারুফের ব্যাটে বড় স্কোর গড়ে ঢাকা। উদ্বোধনী জুটিতেই প্রথম ১০ ওভারেই ১০৩ রান করে ঢাকা। উইকেটের খোঁজে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক আরাফাত সানি। ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী মারুফকে আউট করে রংপুর শিবিরে স্বস্তি ফেরান সৌম্য।
লেগ বিফোরের ফাঁদে আউট হবার আগে ৩১ বলে তিনটি চার ও সমান সংখ্যক ছয়ের মারে ৪০ রান করেন মারুফ। পরের ওভারে প্রসন্নকে ফিরিয়ে দেন জিয়াউর রহমান। তবে আতঙ্ক হয়ে থাকা লুইস তখনো মাঠে ছিলেন। ২১ বলে অর্ধশতক করা লইস আউট হন ৭৫ রান করে।
সৌম্যর বলে ইলিয়াস সানিকে ক্যাচ দেন লুইস। ৩৪ বলে তিনটি চার ও আটটি ছয়ে ৭৫ রান করেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। দ্রুত রান তোলার চাপে উইকেট বিলিয়ে আসেন রাসেল-ব্রাভো ও সাকিব। তবে ঢাকার রানের চাকাটা কখনই থামেনি।