না’গঞ্জ সিটি নির্বাচনে আইভী-সাখাওয়াতদের মনোনয়ন বাছাই শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জমা দেয়া মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামীকাল পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়া।
গত ১৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর এই সিটির ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া ২৬ ও ২৭ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ৫ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবে প্রার্থীরা।
এবারই প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হতে যাচ্ছে। এর আগে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয়ভাবে না হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক ব্যবহার করতে পারতেন না।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিটির প্রথম মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান।
আইভী-সাখাওয়াত ছাড়া মেয়র হতে আরও সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৭৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৩৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া অন্য সাতজন হলেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপির কামাল প্রধান, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ, কল্যাণ পার্টির রাসেদ ফেরদৌস, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু) থেকে মোসলে উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ইজহারুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান উদ্দিন।
মনোনয়পত্র বৈধ হলে নির্বাচনে মূল লড়াই হবে আইভী ও সাখাওয়াতের মধ্যে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই প্রতিপক্ষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে দুজনই।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানো হলেও আইভী এই দাবির বিরোধিতা করেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আইভী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে বিএনপির প্রাথী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নির্বাচনের লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি হয়নি। অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়নি। এই বৈধ অস্ত্র দিয়েও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বর্তমান প্রশাসন পাল্টানোর দাবি জানান।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নাসিকের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম ওসমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।