সিটিসেল কর্মী-গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ অনিশ্চিত
ডেস্ক রিপাের্ট : গত সপ্তাহেও প্রাণ ছিল, ছিলো আশা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল- এর সুইচ বন্ধ করতেই থেমে যায় তরঙ্গ। বন্ধ হয়ে যায় নেটওয়ার্ক। মুহূর্তে বিপাকে পড়েন সিটিসেল’র ৬ লাখ ৬৮ হাজার গ্রাহক। এবার বাতিল হচ্ছে সিটিসেল-এর লাইসেন্স। ফলে অথৈ সাগরে ভাসতে চলেছে অপারেটরটির চার শতাধিক কর্মী।
মালিক পক্ষ কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা- কারও কাছ থেকেই কোনো সাড়া পাচ্ছেন না তারা। ৪ হতে ১৩ মাস পর্যন্ত বেতনভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে তাদের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার। এমন পরিস্থিতি দেশের সবচেয়ে আলোচিত টেলিকম খাতের ভবিষ্যতের জন্য মোটেই শুভ বার্তা বহন করে না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
জানাগেছে, সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অনুমোদন পেলে যেকোনো সময় অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের বাঁচাতে আকুতিও জানিয়েছিল সিটিসেল কর্মীরা।
এর তিন দিন পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) তরঙ্গ স্থগিত হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেল কর্মীদের বেতন-ভাতা ও পাওনা পরিশোধের বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগ বা বিটিআরসির কিছুই করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে ‘ক্ষতিগ্রস্ত সিটিসেল গ্রাহক ফোরাম’। মানববন্ধনে সকল ক্ষতিগ্রস্ত সিটিসেল গ্রাহকদের উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ফোরামের সমন্বয়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
অপরদিকে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল করিম কর্মীদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে যেনো সরকার সিটিসেল সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশনা দেয়- টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের মাধ্যমে সে অনুরোধ জানিয়েছেন।