দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরেছে
ডেস্ক রিপাের্ট : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার চোরমর্দ্দন গ্রামে বাসায় হামলার শিকার তাহমিনা আক্তারের জ্ঞান ফিরেছে। ১৯ অক্টােবর বুধবার ভোরে তার জ্ঞান ফেরে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্কুলছাত্রী তাহমিনাকে আহত করে দুর্বৃত্তরা। তাহমিনা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বুধবার অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে তিন যুবককে আসামি করে সিরাজদীখান থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিতসকরা জানিয়েছেন, তাহমিনার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার হাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে তাহমিনার নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চোরমর্দ্দন গ্রামে তাহমিনার ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ রয়েছে। স্বজনরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। সকাল থেকে শত শত মানুষ তাহমিনার বাড়িতে জড়ো হয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।
তাহমিনার বাবা তফিজউদ্দিন হাওলাদার জানান, হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তাহমিনার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে তার বোন জ্ঞান ফেরে। এ সময় সে স্বজনদের জানায়, হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। তখন সে একজনের হাতে কামড় দিয়ে এবং অন্য একজনকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির উঠানে গিয়ে চিৎকার করে পড়ে যায়। দুর্বৃত্তদের মুখে গামছা বাঁধা থাকায় তাদের চিনতে পারেনি সে।
সাগর আরও জানান, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাহমিনার মাথায় ধারালো অস্ত্রের যে কোপটি লেগেছে তা ৫ ইঞ্চি লম্বা। এ ছাড়া তার হাতেও কোপের চিহ্ন রয়েছে।
সিরাজদীখান থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় জাহিদুল নামে একজনকে বুধবার আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তাহমিনা আক্তার গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পর সেখানে ওৎপেতে থাকা দুই-তিন দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার চেষ্টা চালায়।