টেস্টেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই হবে : গ্যারেথ বেটি
স্পাের্টস ডেস্ক : বাংলাদেশকে সর্বশেষ দেখেছিলেন তিনি সেই এগারো বছর আগে, মানে সেই ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই তিনি তার শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন। মাঝের এই এতদিনে সেই বাংলাদেশ যে অনেকটা বদলে গেছে, সেটা এখন বেশ টের পাচ্ছেন গ্যারেথ বেটি। ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন না তিনি, তবে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই তীক্ষষ্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন গ্যারেথ বেটি। আর তার পরই উপলব্ধি, 'বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। আমি মনে করি টেস্ট সিরিজটাও খুব কঠিন হবে। এবারের এই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটা আমার জন্যও কঠিন চ্যালেঞ্জের হবে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশিরা বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কন্ডিশন এখানে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের পক্ষে ফল আনার ক্ষমতা আছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে ওয়ানডের মতো টেস্ট সিরিজও জেতা সম্ভব।'
তাকে যখন দলে নেওয়া হলো তখনই বলাবলি হচ্ছিল, এত বুড়ো বয়সে কী করবেন তিনি। ইংল্যান্ডের বর্তমান তরুণ দলের সঙ্গে কি মানিয়ে নিতে পারবেন গ্যারেথ বেটি? এই দলের অ্যালিস্টার কুক ছাড়া সেভাবে কেউই তার সময়কার নন। তাই কিছুটা জড়তা নিয়েই লন্ডন থেকে বিমান ধরেছিলেন বেটি। কিন্তু চট্টগ্রামে পা রাখার পর প্রথমেই সাংবাদিকদের সামনে যে কথাটি বললেন বেটি। তাতে সতীর্থদের মধ্যকার অস্বস্তি কেটে যাওয়ারই কথা।' ইংল্যান্ডের এই দলটির সঙ্গে যোগ দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। দারুণ এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এই দলের ড্রেসিংরুমে। নিজের উপস্থিতি এখানে দারুণভাবে উপভোগ করছি।' বৃহস্পতিবারই চলি্লশে পা রাখলেন বেটি। সেদিনই টিম হোটেলে কেক কেটে বেটির জন্মদিন সেলিব্রেশন করেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
১১ বছর আগে এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি তার। তবে এক ইনিংসে ১৫ ওভার বোলিং করে একটি উইকেট দখল করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। চট্টগ্রামের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ তাই তার জন্য ভীষণ জরুরি। যদিও কাল বৃষ্টির কারণে একটি ম্যাচের প্রথম দিন ভেস্তে যাওয়ার পর নেট প্র্যাকটিস করেছেন বেটি।' একটি দিন ভেস্তে যাওয়াটা উদ্বেগের কিছু নয়। ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচের আগে আমরা নেটেই বেশি অনুশীলন করে থাকি। আমরা ম্যাচের আগের দিন যে অনুশীলন করেছি তাতে কন্ডিশনটাও কিছুটা বুঝে নিয়েছি।'