পুলিশ-ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে আহত ৫
ডেস্ক রিপাের্ট : বগুড়ার কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই কনস্টেবলসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
৬ অক্টােবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পরে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন আন্তঃজেলা ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- কাহালুর আখরাইল গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে গোলাম মোস্তা (৩৫), গাবতলীর কদমতলী গ্রামের আবদুর রহিম সরকারের ছেলে ঝন্টু ওরফে মিঠু (৩৭) ও শাজাহানপুরের চকদুলাহার বলিপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোজাফফর ওরফে বিপুল (৩০)।
বগুড়ার সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) গাজিউর রহমান সাগর জানান, গত ২৬ আগস্ট কাহালুর পোড়াপাড়ায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে নৈশপ্রহরী খুন ও ডাকাতি হয়।
এরপর ৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার পাবহারা গ্রামে একটি গভীর নলকূপে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়।
এ দুটি ঘটনায় জড়িত থাকায় বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে সেলিম, আসির উদ্দিন ফকির, বাবুল প্রামানিক, মাসাদুল হক জিবু, এসএ মোরশেদ তুলিপ ও রেদওয়ানুল মোরশেদ রাহাদকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে সেলিম, বাবুল ও আসির স্বীকারোক্তি দেয়। এরা ডাকাত মোস্তা, মিঠু ও বিপুলের নাম বলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে কাহালু উপজেলার দূর্গাপুরের একটি ফাঁকা মাঠে কয়েকজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- গোপনে খবরে কাহালু থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা গুলি শুরু করে পালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোস্তা, মিঠু ও বিপুলকে গ্রেফতার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় দুই কনস্টেবল- আহসানুল করিম ও মোমিনুল ইসলাম আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গাজিউর রহমান জানান, ডাকাতদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয়েছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি-চুরি করতে গিয়ে হত্যা ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি-ডাকাতির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।