আফগান ‘ঝড়ের’ পর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : মূল লড়াইয়ের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশকে ৬৬ রানে হারিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। রোববার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ২৬৫ রানে আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেছে আফগানরা। সব মিলিয়ে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দারুণ লড়াইয়ের আভাসই মিলছে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশের করা ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। রহমত শাহ ও আসগর স্তানিকজাই ০ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন। মিরপুরে ঝড় তোলে ২১ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। আরেক ওপেনার সাবির নুরি করেছেন ৯ রান।
২৬৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরস্থিরই করেন দুই আফগান ওপেনার শাহজাদ ও সাবির। তবে ধীরে ধীরে খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন দুই ওপেনার। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত তাসকিন আহমেদের করা ষষ্ঠ ওভারে টানা তিনটি চার মেরে বাংলাদেশ শিবিরে ভীতি সৃষ্টি করেন শাহজাদ।
মাশরাফির করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে মিরপুরের স্বাগতিক দর্শকদের হতভম্ব করে দেন শাহজাদ। তবে পরের বলেই উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই হার্ডহিটার আফগান ওপেনার।
এর আগে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরি এবং সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষ বলে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে তামিম ৮০, মাহমুদউল্লাহ ৬২ ও সাকিব করেন ৪৮ রান।
আফগানদের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করলেও দৌলত জাদরানই সফল বোলার। ১০ ওভারে ৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ নবী ও রাশিদ খান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। বাকি দুটি উইকেট গেছে নাভিন-উল-হক ও মিরওয়াইস আশরাফের দখলে।
রোববার ১৪ সদস্যের দল থেকে শফিউল ইসলাম, নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে একাদশের বাইরে রেখে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তান দলে ১৭ বছর বয়সী পেসার নাভিন-উল-হকের অভিষেক হয়েছে।