শিক্ষিকাকে মারধর করে কারাগারে শিক্ষক
ডেস্ক রিপাের্ট : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা একটায় উপজেলার পাঁচানি গ্রামের ওই বিদ্যালয় থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষকের নাম কামাল হোসেন (৪০)। তিনি উপজেলার পাঁচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মারধরের শিকার ওই শিক্ষিকার নাম সাবিনা ইয়াছমিন (৩০)। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর এক নারী সহকর্মী বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল নম্বর তালিকায় উঠাচ্ছিলেন। ভুলবশত এক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের স্থানে কিছুটা ঘষামাজা হয়। সে সময় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন সেখানে আসেন এবং ওই শিক্ষার্থীকে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর দেওয়া (উঠানো) হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার (সাবিনা) কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষক কামাল ওই শিক্ষিকার নাকে ও মুখে ঘুষি মারেন। এতে তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং তিনি জখম হন। তাঁর চিৎকারে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকেরা ছুটে আসেন এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াছমিন অভিযোগ করেন, তাঁকে মারধরের ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক। এতে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, রাগের বশে তিনি এমনটি করেছেন। ঘটনার জন্য তিনি লজ্জিত ও দুঃখিত।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে শিক্ষক কামালকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। আজ বেলা একটায় তাঁকে (শিক্ষককে) গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।