লাকী আখন্দ বাড়িতে ঈদ কাটিয়ে আবার হাসপাতালে
বিনােদন রিপাের্ট : হাসপাতাল থেকে বাড়ি, আবার বাড়ি থেকে হাসপাতাল— এভাবেই সময় কাটছে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত কিংবদন্তি সুরকার ও গায়ক লাকী আখান্দের। নিজ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটান এ শিল্পী। ঈদের কয়েকদিন পরে ফের তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন লাকী।
এ গায়কের কন্যা মাম্মিন্তি ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে বলেন, ‘বাবা আমাদের সঙ্গে বাড়িতেই ঈদ করেছেন। তার শরীর এখন অনেকটা ভাল। কিন্তু ডাক্তারে পরামর্শেই আবারো তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।’
তিনি আরো জানান, এখন স্বাভাবিকভাবে খাবার গ্রহণ করছেন লাকী। পাশাপাশি চলছে ওষুধ।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়ায় লাকী আখান্দকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফেরেন লাকী।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নভেম্বরে তাকে ফের ব্যাংককে নেওয়া হয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসে সরকার। মাঝে কিছুদিন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লাকী।
লাকী আখান্দ অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মামনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’, ‘এতো দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।