মানিকগঞ্জে মীর কাসেমের দাফন প্রতিহতের ঘোষণা
ডেস্ক রিপাের্ট : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেমের মৃতদেহ তার নিজ জেলা মানিকগঞ্জে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় লোকজন। এ লক্ষ্যে গত শুক্রবার রাত থেকে তারা হরিরামপুর উপজেলার চালা বাজারে অবস্থান করছেন।
মীর কাশেম আলীর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গী গ্রামে। বাবা তৈমুর আলীর চাকরির সুবাদে তিনি চট্টগ্রামে যান। সেখানে তিনি পড়াশোনা করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেন। চার ভাইয়ের মধ্যে মীর কাসেম ছিলেন দ্বিতীয়। মুন্সীডাঙ্গী বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পর মীর কাসেম হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে ৫০ শতাংশ জমি কেনেন। চারদলীয় জোটের সময় মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ঘন ঘন মানিকগঞ্জে আসতেন। চালা এলাকায় বাড়িঘর না করলেও তিনি একটি মসজিদ ও কলার বাগান করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মীর কাসেমকে আর মানিকগঞ্জে দেখা যায়নি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার তোবারক হোসেন লুডু বলেন, মীর কাসেম আলী মানিকগঞ্জের কুলাঙ্গার সন্তান। তার মৃতদেহ মানিকগঞ্জের মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হবে না। কারণ মানিকগঞ্জ হচ্ছে ভাষাশহীদ রফিকের জন্মস্থান।
জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ জানান, কুখ্যাত এ রাজাকারের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জবাসীও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। যেহেতু মানিকগঞ্জে তার কোনো বাড়িঘর নেই, তাই এখানে দাফন করারও কোনো যুক্তি নেই।
হরিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ জানান, মীর কাসেম আলীর মৃহদেহ প্রতিহত করতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গত শুক্রবার রাত থেকে অবস্থান করছেন।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জে মীর কাসেম আলীর দাফনের বিষয়টি এখনও সরকারিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যেহেতু মানিকগঞ্জের চালা এলাকায় তার জমি আছে, তাই পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এখানে দাফনের জন্য।