adv
১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব বিতর্ক শেষ – ইনুই পেলেন ‘মশাল’

INUনিজস্ব প্রতিবেদক :  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ অবশেষে হাসানুল হক ইনুর হাতেই তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ইনু-শিরিনের নেতৃত্বাধীন জাসদকেই মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইসি। গতকাল মঙ্গলবারই এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। 

গত ৬ এপ্রিল আলাদাভাবে জাসদের বিবদমান দু’পক্ষের শুনানি করে মশাল ও মূলধারা জাসদের বিষয়ে বুধবার এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
 
এর আগে গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের কমিটির পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের আলাদা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।
 
পরে দুই পক্ষই নিজেদের ‘মূল জাসদ’ দাবি করে দলীয় প্রতীক মশালের দাবি নিয়ে ইসির দ্বারস্থ হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল আলাদাভাবে দুই পক্ষের শুনানি করে ইসি।
 
জাসদের শুনানি রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ইনু-শিরীন কমিটি গঠনতন্ত্র অনুসারে হওয়া জাসদের দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ তাদের পক্ষে দেয়ার মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
 
তিনি বলেছিলেন, ‘জাসদের বিষয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। গত ১২ মার্চ জাসদের কাউন্সিলে সভাপতি পদ নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। সে সময় সবার সমর্থনেই হাসানুল হক ইনু সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র মেনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইনু-শিরীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই তার অংশটিকেই মূল জাসদ ভেবে আমি এ কমিটিকে জাসদের দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ দেয়া পক্ষে মত দিয়েছি।’
 
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে যেকোনো বিষয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুভাগে বিভক্তি এলে সিইসির মতামতের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে সিইসি যে পক্ষে মত দেন তাতে সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।

সে হিসেবে চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত এসেছে বলে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ জানান। 
 
এদিকে, নিজেদের মূল জাসদ দাবি করে নির্বাচন কমিশনের শুনানির সিদ্ধান্ত যদি তাদের পক্ষে না আসে তবে আদালতে যাওয়া ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিভক্ত জাসদের একাংশের কার্যকরি সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল।
 
সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ইসির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আমরা আদালতে যাবো কিনা।’

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া