পিলখানায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা ট্রাজেডির বার্ষিকীতে ওই ঘটনায় নিহতদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বনানীতে সামরিক কবরস্তানে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান, বিজিবির প্রধান ও বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্বজনরা।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে নিহতদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ আবুল হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও শ্রদ্ধা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। এরপর নিহতদের স্বজনরা একে একে শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর-এর (বর্তমানে বিজিবি- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিপথগামী সদস্যরা পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই দু’দিনে তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিদ্রোহী সদস্যদের হাতে বিডিআর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও নিহত হন। বিদ্রোহীদের হাত থেকে রেহাই পাননি ডিজির স্ত্রী,বাসার কাজের মেয়ে ও বেড়াতে আসা আত্মীয়স্বজনও। এই হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পার হলো আজ।
বিদ্রোহ ও হত্যাযজ্ঞের মূল হোতা সিপাহি সেলিম রেজা, কাজল আলী, আবদুল বাছেত, শামীম আল মামুন জুয়েল ও ল্যান্স নায়েক ইকরামসহ ঘাতকদের হিংস্র তাণ্ডবে সেনা পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হনবিডিআর সদস্যদের পরিবারগুলো।
দিবসটি পালনের লক্ষ্যে বিজিবির পক্ষ থেকে পিলখানায় নিহতদের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল, সমাধিতে ফুল দেওয়ার মতো কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদ আসর পিলখানায় বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়রা, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন।