ওমানকে হারিয়ে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আফগানরা
ফতুল্লা স্টেডিয়াস থেকে জহির ভূইয়া
আর একটু হলেই সব হিসেব পাল্টে দিয়েছিল আইসিসির টি২০ র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা ওমান। ৯ম স্থানে থাকা আফগানদের অল্পের জন্য হারাতে পারেনি ফতুল্লার উইকেটে। ওমান ৩ উইকেটে হেরে গেছে। কোন ক্রমে এশিয়া কাপের টি২০ মুল আসরে টিকিট কাটার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানরা। আগের ম্যাচে আমিরাতের বিপক্ষে হেরে বিপদেও মুখে ছিল আফগান ক্রিকেট দল।
অপর দিকে টিকিট নিশ্চিত করতে এখন ওমানকে শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেতেই হবে। আগের ম্যাচে আরেক শক্তিশালী দল হংকং-কে ৬ রানে হারিয়ে এক ম্যাচে জেতার সুবিধাটা পেয়েছে ওমান। আজকের ম্যাচে যে কেউ জিতে নিতে পারত। ১৬৬ রানের টার্গেটে আফগানরা শেষ দিকে ১২ বলে ২১ রানের দরকার। এবং ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান। শেষ ৬ বলে ১০ রানের জন্য লড়াই। হাতে ছিল ৪ উইকেট। দুই দলেরই সমান সুযোগ ছিল। তাতে সফল হল আফগানরাই। শেষ ওভারে ৭ম উইকেটের পতন ঘটলেও পরের ব্যাটসম্যান দলের টার্গেট ১৬৬ পার করে নিয়ে যায়। ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান। শেষ ম্যাচ ২২ র্ফেরুয়ারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামা আফগান দুই ওপেনার ওমানের বোলিং আক্রমনের সামনে বেশি সময় টিকতে পারেনি। দলীয় ৫ রানেই মোহাম্মদ শাহজাদ ৪ রান করে ফেরত গেলেন। কিন্তু অপর ওপেনার নূর আলীর ৬৩রানের সুবাদে অনেকটাই চাপ কাটানোর পথ খুঁজে পায় আফগাননা। এর আগে দলের ৫৯ রানের মাথায় ৩৪ রান করা ওয়ান ডাউনে নামা আসগর ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। আর মিডল অর্ডারে করিম শূণ্য রানে। এবং অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী ১১ রানে সাঁজ ঘরের পথে হাটা ধরলে ৪ উইকেটে রান ৮১। কিন্তু ৫ম জুটিতে নজিবুল্লার সঙ্গী হিসেবে নূর আলী ভালই সার্পোট দিলেন। নূর আলী টিকলেও নজিবুল্লাহ ২৩ রানে ফেরতের খাতায় নাম লেখালে স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪০ রান। পর পরই ৬৩ রান করা নূর আলী আউট। ৬ উইকেটে ১৭ ওভার শেষে রান ১৪১। ১৮ বলে দরকার ২৫ রান। আর সেটা শেষ পরিস্থিতি দাঁড়ায় ১২ বলে ২১ রানে। প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি। শেষ ৬ বলে ১১ রানের দরকার ছিল। উল্টো উইকেট পতন ঘটে। ৭ উইকেটে ১৫৬ রান, শেষ ৫ বলে ১২ রান যোগ হয় স্কোর বোর্ডে। ৭ উইকেটে ১৬৮।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় ওমান। সংগ্রহ করে ৪ উইকেটে ১৬৫ রান। আফগান বোলারদের রীতিমতো ব্যাটিং শিখিয়ে ছেড়েছে ওমান টপ অর্ডাররা। টানা ১০ ওভার পর্যন্ত ৭০ রানে বিনা উইডকেট! ওপেনার জিসান মাসুদ ৪৫ আর অপর ওপেনার জাতিন্দার সিং ২১ রানে অপরাজিত। অনেক কষ্টের পর জিতান্দার সিং-কে ২৩ রানে ফেরত পাঠাতে সফল হলেন বোলার গুলবাদিন নবী। দলের রান ৭২/১। আর জিসান মাসুদ ১৪তম ওভারের শেষ বলে ফেরত গেলেন ফিফটি করে ৪২ বলে ৫২ রান)। আর মিডল অর্ডাওে আদমান দলীয় ১৪৩ রানে ২৭ বলে ফিফটি করে বিদায় নেন। আমির কলিম করলেন ১৩ রান। শেষ দিকে মিরান খান ১২ রানে আর আমির আলী ১ রানে অপরাজিত রইলেন।