সুচিকে হত্যার হুমকি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অং সান সুচিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই হুমকির পরে মিয়ানমারের পুলিশ এই প্রথম তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বাহিনী মোতায়েন করেছে।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে মিয়ানমারের পুলিশ প্রধান বলেছেন, একটি বিশেষ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতা সুচির নিরাপত্তার স্বার্থে।
গত বছর শেষদিকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মিয়ানমারের ঐতিহাসিক নির্বাচন। জয়ী প্রার্থী অং সান সুচি ইতিমধ্যেই কয়েকবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট থাই সেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রতিবারই শান্তি পূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু সুচির প্রেসিডেন্সি নিয়ে চলছে নানান জল্পনা। কারণ মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচির দুই ছেলে বিদেশের নাগরিক। কাজেই প্রেসিডেন্ট হতে গেলে সুচিকে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন সংক্রান্ত কারণেই তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সুচির নিরাপত্তার জন্য তার একটি ব্যক্তিগত বাহিনী ছিল। কিন্তু এইবার পুলিশের তরফ থেকে তার ঘরে এবং রাইরে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফেসবুকে এক লোক তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি সুচি সংবিধান পরিবর্তন করে তাহলে তাকে হত্যা করবেন তিনি। সেইসাথে একটি রাইফেল হাতে ছবি তুলে পোস্ট করেন ফেসবুকে। তারপর যদিও এ হুমকির ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছেন সুচির কাছে, কিন্তু ব্যাপারটা গুরুত্বের সাথে নিয়েছে সরকার।
সুচি মিয়ানমারের সামরিক শাসকের অধীনে দীর্ঘদিন গৃহ বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন। গত নভেম্বরের নির্বাচনে তার দলের নিরঙ্কুশ জয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তনের শুরু হয়।