সিরিয়ায় সংঘাত অবসানে শান্তি আলোচনা স্থগিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে চলা সংঘাত অবসানে জেনেভায় চলমান শান্তি আলোচনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জাতিসংঘ।
তবে, আলোচনা এখনো ব্যর্থ হয়নি দাবি করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান ডে মিসচুরা বলছেন, এ মাসের ২৫ তারিখে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের জন্য এখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং রাশিয়ার সমালোচনা করছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে খোদ সিরিয়ার বিরোধী পক্ষেরই।
বিরোধীদের একজন মধ্যস্থতাকারী বলছেন, রুশ বিমান হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের উচিত কেবল বক্তব্য দেয়ার বাইরেও কিছু করা।
জেনেভায় শান্তি আলোচনা থেকে কোন ফলাফল না পাওয়ায় সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধী, উভয় পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
কিন্তু মিসচুরা বলছেন, সমাধানে পৌছুতে হলে উভয় পক্ষকেই আরো অনেক কাজ করতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সিরিয় জনসাধারণের ওপর ক্রমাগত রুশ বিমান হামলা এই শান্তি আলোচনার পথে এক বিরাট অন্তরায়।
সিরিয়া বলেছে, সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ার জন্য সৌদি আরব, তুরস্ক এবং কাতার দায়ী।
সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ বিশেষ দূত মিসতুরা চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত এ আলোচনা স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্রথম সপ্তাহের প্রস্তুতিমূলক আলোচনার পর ধারণা হয়েছে, আরো কাজ বাকি রয়েছে। শুধু জাতিসংঘ নয় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীও আরো কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
সিরিয়ার প্রধান বিরোধীগোষ্ঠী কথিত হাই নেগোশিয়েশন কমিটি বা এইচএনসি’র প্রধান রিয়াদ হিজাবের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, পাঁচ বছর যুদ্ধের পর নানা সংকটময় পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে এ জন্য বাস্তববাদী হতে হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে এর আগে জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার আজ-জাফরি বলেন, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার দায়িত্ব সৌদি আরব, তুরস্ক এবং কাতারিদের নিতে হবে। রিয়াদ গোষ্ঠীকে সত্যিকার অর্থে তারাই পরিচালনা করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আলোচনা জাতিসংঘ তিন সপ্তাহ স্থগিত করার পর এইচএনসি আলোচনায় আর ফিরবে না বলে ঘোষণা করেছে। তাদের মানবিক দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আলোচনায় না ফেরার ঘোষণা দেয়া এইচএনসি।
হিজাবের ঘোষণার জবাবে জাফরি বলেন, বিরোধী দল আলোচনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডে আসার পর থেকেই জাতিসংঘ বিশেষ দূতের সঙ্গে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনায় অস্বীকার করেছে এইচএনসি।- সংবাদমাধ্যম