দুই মামলা খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে
ডেস্ক রিপোর্ট : মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও জাতির জনকের গৌরবজনক ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে দুটি মানহানির মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মামলা দুটি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শেখ আশিক বিল্লাহ। মামলা দুটি আমলে নিয়ে নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়্যা নড়াইল সদর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছেন বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।’
এছাড়া তিনি একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে বলেন ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি’ উপরোক্ত আসামির এই বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয় এবং পরের দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় তার দলের এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে বলেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেল, আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়। তারা যদি এত বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত তারা নিজের ঘরে থাকেন কি করে একটু বলেন তো। যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা করেছেন ভাল। এরা (বুদ্ধিজীবি) যে শেষদিন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বেতন-ভাতা খাইছে নির্বোধের মতো।’ ২৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হয়।