বিধি লঙ্ঘনে পার পেলেন ২ মন্ত্রী, প্রার্থীকে শোকজ
ডেস্ক রিপোর্ট : ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভায় তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের সত্যতা পায়নি রিটার্নিং অফিসাররা। তবে প্রচারের চেষ্টা করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো প্রতিবেদনে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ইসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেয়।
রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পত্রপত্রিকায় তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচারণবিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ এসেছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশের পাশ দিয়ে দুই মন্ত্রী তাদের গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তখন তাদের ডেকে কিছু বক্তব্য দিতে বলা হয়। ফলে দুই মন্ত্রী বক্তব্য দেন, তবে সেই বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুরের রিটার্নিং অফিসার সুব্রত পাল বলেন, ‘ইসির নির্দেশনা পাওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে দুই মন্ত্রীর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ কারণে মন্ত্রীদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক ছাড়া প্রচারণার সুযোগ ছিল। কিন্তু তার আগেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শশধর সেন মন্ত্রীদের নিয়ে প্রচারণার চেষ্টা চালায়। তাই বিধিভঙ্গের জন্য এ প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।’
ইসির আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির প্রধান সম্বনয়কারী উপ-সচিব রকীব উদ্দিন মণ্ডল জানান, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে দুই মন্ত্রীর আচরণবিধি ভঙ্গের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
প্রার্থীর জবাবে সন্তুষ্ট কিনা, জরিমানা করা হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসির আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে আমি ঢাকায় আছি। পরে জবাব পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
ইসি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত নির্বাচনের প্রায় অর্ধশতকের মতো বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ইসিকে জানানোর জন্য রিটার্নিং অফিসারদের চিঠি দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম কোনো তদন্তের প্রতিবেদন এলো।
এদিকে, চাটখিল পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিষয়ে ইসিতে অভিযোগ করে বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট প্রার্থী।
ইতোমধ্যে ইসির আইন শাখার উপ-সচিব ওই এলাকায় অবস্থান করে ঘটনা তদন্তে কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তাকে।