অ্যাকর্ড-এ্যালায়েন্সের মেয়াদ বাড়ানো হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘অ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ রয়েছে। এর পর তাদের বিদায় করে দেওয়া হবে। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ কারখানা এখন কমপ্লায়েন্স। বাকিগুলোও কমপ্লায়েন্স হচ্ছে। তাই তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’
তিনদিনব্যাপী ‘ইন্টান্যাশনাল ট্রেড এক্সপো ফায়ার বিল্ডিং এন্ড সেফটি’ শীর্ষক এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে তৈরি পোশাকখাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ফায়ার সেফটি। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সকলের জন্য উš§ুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ফায়ার সেফটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবা রবিন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ডোর আমদানীর ক্ষেত্রে সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যা আগে ৬২ শতাংশ ডিউটি দিতে হতো। ফলে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় পোশাক কারখানাগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, রানা প্লাজা ও তাজরিনের ঘটনার পর বিদেশীরা আমাদের ভুল বুঝেছিল। কিন্তু সরকার ও সকলের সহযোগিতায় সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। জিএসপি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অল্প কিছু পণ্যে আমরা জিএসপি সুবিধা পেতাম। সেটি স্থগিত হওয়ার পরও সেখানে আমাদের রফতানি বাড়ছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের মোট রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এর বিপরীতে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
তিন দিনের এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ উৎপাদিত অগ্নিনির্বাপণ (বিশেষ করে কারখানায়) সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করছেন কোম্পানিগুলো।