রংপুরকে আটকাতে ব্যর্থ হল ঢাকা
জহির ভূইয়া ঃ পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে রংপুর। ৮ম ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের দেখা পেয়েছে রংপুর ৬ উইকেটে ঢাকাকে হারিয়ে। রংপুরকে আটকাতে ব্যর্থ হল ঢাকা। তৃতীয় অবস্থান ধরে রাখতে আজ সন্ধ্যার ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে প্রচন্ড লড়াই করতে হয়েছে রংপুরকে। ১০ বল অক্ষত রেখেই রংপুর জয় তুলেছে ৪ উইকেটে ১৮.২ ওভারে ১৩৬ রান। আর এর আগে টস জিতে ঢাকা করেছে ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের মামুলি স্কোর।
ঢাকার বিপক্ষে মিরপুরের উইকেটে রংপুর আজ হেরে গেলেই তৃতীয় অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকাটা কঠিন হয়ে যেত। ঢাকা জিতে গেলে ৭ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে এগিয়ে যেত। কিন্তু ঢাকার বোলারদের পক্ষে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গড়া ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে রংপুরের বিপক্ষে লড়াইতে টিকতে পারেনি। ৪র্থ সারিতেই পড়ে রইল ঢাকা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ১৩৬ রানের টার্গেট দেয় রংপুরকে। টার্গেট তাড়া করতে নামা রংপুর ৮.৩ ওভারে সংগ্রহ করে ৫০ রান। কিন্তু দলের ৭৪ রানের মাথাতেই ৩য় উইকেটের পতন ঘটে। কিস্তু রংপুরের শুরুটা ছিল এক কথায় চমৎকার। ৩৮ রানের জুটি গড়ে ছিলেন দুই ওপেনা লিন্ডি সিমন্স আর সৌম্য সরকার। ২১ রান করা সৌম্য সরকারকে আবুল হাসান ক্যাচে পরিণত করলেন। বাদ গেলেন না লিন্ডি সিমন্সও। ১৮ রান করা এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকাকে হাসানই ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন।
অপর প্রান্তে জহুরুল ইসলাম টিকে ছিলেন। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিব সেট হবার পথেই ছিলেন। কিন্তু ৬ বলে ৮ রান করা সাকিবকে ফিরতি ক্যাচ বানালেন বিশ্বসেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ড্যারেন স্যামী ক্রিজে। ৪র্থ জুটিতে স্যামী আর জহুরুল মিলে ১৫ ওভার শেষে দলের স্কোর পৌচ্ছে যায় ১১৩ রানে। ১৫তম ওভারে স্যামীর হাতে প্রচন্ড মার খেলেন সোহেল খান। ৭ উইকেটে ৩০ বলে রংপুরের জয় পেতে দরকার ছিল ২৩টি রান। কিন্তু রংপুরের ১১৯ স্যামীকে ২৩ রানের মাথায় ইরফান বোল্ড করলেন। ২৪ বলে দরকার ১৭ রান। জহুরুল অপরাজিত ২৮ রানে। এরপর থিসারা পেরেরা আর জহুরল ম্যাচ শেষ করে দিলেন।
এর আগে ঢাকা টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৩৫ রানের মামুলি টার্গেট। যদিও ঢাকার ওপেনিং জুটি যেভাবে শুরু করে ছিল সেভাবে মিডল অর্ডার শেষ করতে পারলে রানের পরিমান আরও অনেক বেশি হবার কথা ছিল। ৪র্থ জুটিতে সাঙ্গাকারা আর নাসিরের জুটি ৪৫ রানই ছিল বলার মতো বড় কিছু। এর ছাড়া বাকী উইকেট গুলো ধারাবাহিক ভাবে আসা যাওয়া করেছে। কিছুটা সময় পার করেই ড্রেসিং রুমে ফেরত গেছেন ব্যাটসম্যান।
ওপেনার সাদ্দাম ইসলাম ১৬ রান করে সৌম্য সরকারের থ্রো-তে রান আউট হলেন। দলের স্কোর ১৯ রান । এবার ৪ রান করা শামসুর রহমান সাকিবের বলে এলবি’র ফাঁদে কাটা গেলেন। ১৮ রান করা সৈকত আলী স্যামীর বলে ক্যাচ দিলে ৩ উইকেটে ৩৯ রানে থাকা ঢাকার রানের চাকা সচল করতে সাঙ্গাকারার সঙ্গী দলের নাসির হোসেন।
২৯ রান করে সাঙ্গাকারাও ফেরত গেলেন রান আউট হয়ে সাকিবের থ্রোতে। ২৮ বলে ৩০ রান করা নাসিরের সঙ্গী তখন রিয়ান টেন। নাসির বোল্ড হলেন আরাফাত সানীর বলে। আর ৬ রান করা টেনকে ক্যাচ বানালেন সেই আরাফতই। ৬ উইকেটে ১১২ রান। মোসাদ্দেক হোসেন আর আবুল হাসান ক্রিজে। না বুঝে রান আউট হলেন ১৩ রান করা মোসাদ্দেক। স্কোর ৭ উইকেটে ১২৫ রান। আবু হাসানের ২ আর সোহেল খান ৮ রানে অপরাজিত রইলেন।