ডায়াপার ভিজলেই বলে উঠবে ‘প্লিজ চেঞ্জ মি’!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেহমানে বাসাভর্তি। এই রাঁধো সেই রাঁধো। একে সামলাও ওকে সামলাও। আর এত কাজের চাপে আপনি হয়তো আপনার আদরের সোনামণির কথা ভুলেও গেছেন। যেই প্যাঁ করে জোরে কান্না শুরু করে দিল, অমনিই হুঁশ এলো- ইশ, এতক্ষণে বোধহয় বাচ্চার ডায়াপার ভিজে এক শা! ফল, বাচ্চার গা ভর্তি র্যাশ, ইনফেকশন; লাল, ফোলা ফোলা, ছোঁয়া লাগলে শিশুর কান্না…
ভাবছেন, কী মহাঝামেলায় পড়লাম বাপু! মনে উঁকি দিচ্ছে, আচ্ছা, ভিজে যাওয়ার সাথে সাথে ডায়াপারই যদি জানিয়ে দিত ভিজে যাওয়ার কথা? বলত, প্লিজ চেঞ্জ মি…
তো আসুন। কিনে নিন সেন্সর ডায়াপার। আপনার বাচ্চার কান্নার আগেই সেন্সর আপনাকে জানিয়ে দেবে ডায়াপার চেঞ্জ করতে হবে কি না। এতে যেমন নিশ্চিন্তে আপনার গৃহকর্ম সারতে পারবেন, তেমন বাচ্চাও সুরক্ষিত থাকবে।
সিঙ্গাপুরের একদল বিজ্ঞানী বাচ্চার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই ডায়াপার বাজারে আনতে চলেছেন। শুধু কি বাচ্চা? বয়ঃসন্ধি পেরোনো মেয়েদের জন্যও তারা বানিয়েছেন ‘অ্যাডাল্ট ডায়াপার’। পিরিয়ডে ব্যবহƒত স্যানিটারি ন্যাপকিনটি ভিজে ব্যবহার অনুপযোগী হলে সাথে সাথে আপনার কাছে এসএমএস চলে যাবে। আর এতে রক্ষা পাওয়া যাবে র্যাশ, ইনফেকশন হওয়া থেকে। বাংলাদেশে আসার আগ পর্যন্ত এবার একটু ধৈর্য ধরুন!
সিঙ্গাপুরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব বায়োইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যানোটেকনোলজি (আইবিএন) এই সেন্সর ডায়াপার তৈরি করেছেন। গবেষণা দলে ছিলেন ড. মিন হু, প্রফেসর জ্যাকি ওয়াই ইং, ড. রেনশেং ডেং ও ড. জুওলিং জু।
কী ভাবে জানান দেবে এই ডায়াপার? একটা সেন্সর স্ট্রিপ, কমপ্যাক্ট ওয়ারলেস ট্রান্সমিটার আর একটা রিসিভার যৌথভাবে এই কাজ করবে। ডায়াপার ভিজে গেলে সেন্সর তা জানান দেবে ট্রান্সমিটারকে। আর ট্রান্সমিটার আপনার মোবাইল নম্বরে খবর পৌঁছে দেবে। শুধু আগে থেকে সেন্সর ডায়াপারের সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে আপনার মোবাইল নম্বরটি।
ব্যস, ডায়াপার ভিজতে ভিজতে আপনাকে বলছে প্লিজ চেঞ্জ মি!