‘আমার বাবা প্রাণভিক্ষা চাওয়ার লোক নন’
নিজস্ব প্রতিবেদক : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সত্যিকার অর্থে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন কিনা তা যাচাই বাছাই করতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বিকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা নির্দোষ। আর যারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে চিনেন তাদের মতো ছেলে হিসেবে আমার বিশ্বাস তিনি ক্ষমা চাওয়ার লোক নন। তাই প্রাণভিক্ষার কথা বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এটা যাচাই বাছাই করতে আমরা তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাই। তার মুখ থেকে এই কথা শুনতে চাই। তবে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হবে কিনা সেটাই চিন্তার বিষয়।’
এরআগে মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ত্রুটিপূর্ণ বিচার (মিস ট্রায়েল) বিবেচনার আবেদন নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান হুম্মাম কাদের। সঙ্গে তার মা ফারহাত কাদের চৌধুরীও ছিলেন। তবে তারা বঙ্গভবনে আবেদনপত্র জমা না দিতে পেরে পৌনে পাঁচটার দিকে ফিরে যান।
হুম্মাম বলেন, ‘এখান থেকে আমাকে বলা হয়েছে সরাসরি কোনো চিঠি জমা নেওয়া হয় না। তাই এটা মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে সেখান থেকে তা ফরওয়ার্ড হবে। আমার ধারণা এটা আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। আমরা রাতের মধ্যে এটা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘উনি (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) যে ডকুমেন্টগুলি জমা দিয়েছিলেন সেগুলো ভেরিফাই করে বিচার করার জন্য আমরা একটা আবেদন করেছি। সেই কপিটাই এখানে দিতে এসেছিলাম।’
এর আগে, বিকাল ৪টা ২৩ মিনিটে গাড়ি নিয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছান সাকার পরিবার। গাড়িটি বাইরে রেখে পায়ে হেঁটেই ৪টা ২৮ মিনিটে বঙ্গভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ফারহাত কাদের চৌধুরীকে গাড়িতে বসে থাকতে দেখা যায়। বঙ্গভবনে ঢোকার সময় হুম্মাম কাদের চৌধুরী ‘এটি একটি মিস ট্রায়ালের আবেদন। রাষ্ট্রপতি যেহেতু সংবিধানের গার্জিয়ান এ জন্য আমরা তার কাছে মিস ট্রায়ালের আবেদন করছি।’
হুম্মাম বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) তো কাছ থেকে বাবাকে দেখেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষও তাকে চিনেন। তাই তাকে যদি আল্লাহর কাছে চলে যেতে হয় তিনি মাথা উঁচু করেই যাবেন। তিনি ক্ষমা চাইবেন এটা ছেলে হিসেবে আমার বিশ্বাস হয় না।’