দারুণ খেলে শুভ সূচনা বাংলাদেশের
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমে সিরিজ জয়, পরে বাংলাওয়াশ। এবার দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে প্রথমটিতে বাংলাদেশে অনায়াস জয়। ৪ উইকেটে তারা হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়েকে। দারুণ পারফরমেন্স নিয়ে এগুচ্ছে টাইগাররা।
আজ শুক্রবার টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়ে ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগাররা ১৭.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বোলিং তোপে পড়ে ৩৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। পরে ম্যালকম ওয়ালারের ৩১ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৩১ রান সংগ্রহ করে। জিম্বাবুয়ের হয়ে এছাড়াও এরভাইন ২০ এবং উইলিয়ামস ১৫ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি, মুস্তাফিজ, আল-আমিন ও অভিষিক্ত জুবায়ের ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ৬ রানেই ওপেনার এনামুলের উইকেট হারায়। পরে তামিম ইকবালের ৩১, সাব্বির রহমানের ১৮, নাসির হোসেনের ১৬, মাহমুদউল্লাহর ২২, লিটন দাশের ১৭ ও অধিনায়ক মাশরাফির অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
বিকাল ৫টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়েছে। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও জিটিভি।
এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের দলে দুটি পরিবর্তন এনে টোয়েন্টি২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
এ ম্যাচে টোয়েন্টি২০ ভার্সনে অভিষেক হয়েছে স্পিনার যোবায়ের হোসেনের। এছাড়া দলে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। এনামুল সর্বশেষ এ ভার্সনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষিক্ত এনামুল ১২ টোয়েন্টি২০ ম্যাচে ৩০৭ রান সংগ্রহ করেছেন।
এদিকে সৌম্য সরকারের ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাকতলীয়ভাবে ওয়ানডে সিরিজে ফিরে দারুণ খেললেও টোয়েন্টি২০ ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি ওপেনার ইমরুল কায়েসের। সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে তিনি ৭৬ ও ৭৩ রানের দুটি দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলার টোয়েন্টি২০ ম্যাচে আর খেলার সুযোগ পাননি তিনি।