ক্রিকেটার শাহাদাতের জামিন হয়নি
ডেস্ক রিপোর্ট : জজ আদালতেও জামিন হয়নি গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি করে শাহাদাতের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
শাহাদাতের আইনজীবী কাজী মো. নজিববুল্যাহ হিরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাহাদাতের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং কারাবন্দি শাহাদাতও খুব অসুস্থ। এ বিষয়গুলো তুলে ধরে তার জামিন চাওয়া হয়েছিল। বিচারক সেসব বিবেচনা না করে আবেদন নাকচ করে দেন।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, “শাহাদাতের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করতো, শাহাদাত সেই নির্যাতনে বাধা দেয়নি। গৃহকর্মী শিশুটি জবানবন্দিতে অভিযোগ আনে, রুটি তৈরির বেলন দিয়ে তার চোখের ওপরে আঘাত করা হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে কালশিটে ফেলে দিয়েছে।
“শিশুটিকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এসব কারণে শাহাদাতের জামিন হওয়া কোনো মতেই উচিত নয়।”
এছাড়া জামিন দিলে শাহাদাত এই গৃহকর্মীর পরিবারকে মামলা না চালানোর জন্য চাপ ও হুমকি দেবে- এমন আশংকার কথাও আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
শাহাদাত গত ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর ওই শিশুকে পাওয়া যায়। পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুটিকে পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান খন্দকার মোজাম্মেলক হক নামের এক সাংবাদিক।
পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের কাছে শাহাদাতের বাসায় নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ দেয় শিশুটি। সাংবাদিক মোজাম্মেল এ ঘটনায় মামলা করলে স্ত্রীসহ নিরুদ্দেশ হন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
পরে ৪ অক্টোবর মালিবাগের একটি বাড়ি থেকে শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
পর দিনই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শাহাদাত। বিচারক ইউসুফ হোসেন তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় শাহাদাতকে জাতীয় দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।