অনুপ চেটিয়া কোথায় জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন উলফার জেনারেল সেক্রেটারি অনুপচেটিয়াকে যখন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন ঢাকায় সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। অথচ এ সময় ভারতের টেলিভিশনগুলো সহ একাধিক মিডিয়াতে অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সঙ্গীকে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার খবরটি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছিল। এরপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ চেটিয়াকে ভারতের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন যা বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোর স্ক্রলে সম্প্রচার করা হয়।
একই সময় ভারতের আসাম থেকে প্রতিদিন টাইমসএর টেলিভিশনে অনুপ চেটিয়ার স্ত্রীর সাক্ষাতকার সম্প্রচার করা হচ্ছিল। চেটিয়ার স্ত্রী বলছিলেন, তার স্বামী ভারতে ফিরে আসায় তিনি খুব খুশি। তার ছেলে মেয়েরাও খুশি। পিটিআই’কে উদ্ধৃতি দিয়ে এসময় একাধিক ভারতীয় মিডিয়া অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সঙ্গীকে ভারতে নিয়ে আসার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রচার করতে শুরু করে অনলাইন ভার্সনে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় কাশিমপুর কারাগার থেকে অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সঙ্গী লক্ষী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে ভারতীয় দুতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে রওনা দেয়া হয় সিলেট সীমান্ত অভিমুখে। ডাউকি সীমান্তে সকালে তাদের তুলে দেয়া হয় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কর্মকর্তাদের হাতে। এ খবরটি সর্বপ্রথম ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করে আমাদের সময় ডটকম। ভারতের মিডিয়ায় খবরটি বেশ কিছুক্ষণ পর ব্রেকিং নিউজ হিসেবে সম্প্রচার হবার পর বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলো তা ব্রেকিং হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন এরপর বলেন তার বিষয়টি জানা নেই।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়ার কাছে অনুপ চেটিয়াকে ভারত পাঠানোর বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও এর দেড় ঘন্টা পর মিডিয়াকে পুনরায় জানান, সাজা শেষ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে।