খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার চার্জশিট ফের পেছাল
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বাসে পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যা মামলায় চার্জশিটের গ্রহণের শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন এই তারিখ ধার্য করেন।
এর আগেও গত ২৮ মে ২৮ জুন ও ৩১ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে মামলাটিতে গত ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (হত্যা) এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
চার্জশিটের ৩৮ জন আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
তাই আদালত যেদিনই চার্জশিট গ্রহণ করবে সেদিনই খালেদা জিয়াসহ পলাতক ৩১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে।
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় গত ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনের একইসংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
চার্জশিটে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি হিসেবে ১ নম্বর রাখা হয়েছে। চাজশিটে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রাবাড়ী এলাকার সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূইয়া।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিতসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যান।
ঘটনার পর পরিককল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রাবাড়ীর ছাত্রদল শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকালেও এজাহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।