অপহরণের ২মাস পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট : হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের শিশু শিক্ষার্থী নয়ন মনি নিপা ও সাজেদুল ইসলামকে অপহরণের দুই মাস পর তিন লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ চেয়েছে অপহরণ চক্র।
মঙ্গলবার নিপার বড়ভাই রুবেলের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে এ ধরণের মেসেজ এসেছে। জানা গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের দু’টি শিশু বাড়ির পাশে তিস্তা নদীতে গোসলের কথা বলে বাড়ি হতে বেড়িয়ে যায়। তারপর তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্ভব্য সকল স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েছে শিশু দু’টির বাবা মা। এমন কী তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে যদি ভেসে যায়। তাই ভাটি অঞ্চলের গ্রাম গুলোতে নিখোঁজের পর থেকে খোঁজ করছে স্বজনরা।
প্রায় একমাস পর হঠাত মঙ্গলবার বিকালে শিশু দু’টিকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ বিকাশের মাধ্যমে অপহরনকারী চক্রটি দাবি করে। পরিবারের পক্ষে এই অর্থ দেয়া কোন ক্রমে সম্ভব নয়।
শিশু দু’টির মধ্যে নয়ন মনি নিপা স্থানীয় পারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ও সাজেদুল পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী ।
মঙ্গলবার রাতে নয়ন মনির বড়ভাই রুবেল জানান, শিশু দু’টিকে ফিরে পেতে তিন লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাঁর ফোনে। মেসেজটি অপরিচিত নম্বর হতে এসেছে। বিষয়টি হাতীবান্ধা থানা পুলিশকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবার দু’টির দাবি শিশু দু’টিকে অপহরণ করা হয়েছে। এখন মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিতে স্বজনদের মানুষিক ভাবে অপহরণকারী চক্রটি চাপ সৃষ্টি করছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, দুইটি শিশু নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি পরিবারের পক্ষ হতে করা হয়েছে। মেসেজের মাধ্যমে মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী সনাক্ত করতে মাঠে গোয়েন্দা পুলিশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, হাতীবান্ধা উপজেলায় শিশু অপহরণকারীরা এর আগেও বেশ কয়েটি শিশুকে অপহরণ করে । এমন কী মুক্তিপণের অর্থ দেয়ার পরও অপহৃত শিশুদের মেরে ফেলা হয়।