adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করতে ভারতের অভিজ্ঞতা নেবে ইসি

EC_logo_banglanews24_994320122ডেস্ক রিপোর্ট : আগামীতে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে সম্পন্ন করতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ভারতের স্থানীয় নির্বাচনগুলোর আইন, বিধিমালা খতিয়ে দেখছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
 
১৪অক্টোবর বুধবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্য্যালয়ে সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন যোগাযোগ অনেক সহজ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট আছে। ওখানে অনেক কিছু দেখা যায়। আমরা তা দেখেছি। ভারতে পঞ্চায়েত নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়। তবে তাদের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ভবিষতে প্রয়োজন হলে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করবো। তারা কীভাবে নির্বাচন করে সে বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করবো।
 
সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতদিন স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হয়েছে। সরকার সম্প্রতি দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য বর্তমান আইনগুলো পরিবর্তনে মন্ত্রিসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই ধরে নিচ্ছি, দলীয়ভিত্তিতে নির্বাচনের আইন হচ্ছে। যেহেতু স্থানীয় নির্বাচন সরকারের আইনে হয়, সেহেতু দলীয়ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে সেভাবেই। এক্ষেত্রে আইন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালাতেও প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে যে আচরণ বিধিমালা আছে, তা নির্দলীয় প্রার্থীদের জন্য করা হয়েছিলো। এখন দলীয়ভিত্তিতে হবে, বিধিমালায় এমন সংশোধন আনতে হবে। আইন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধিমালা পরিবর্তনের কাজ শুরু করবো। তবে কিছু কিছু প্রস্তুতির কাজ করে রাখছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই করতে পারবো না, যতক্ষণ না আইন হবে। কেননা, বিধিমালা করার ক্ষমতা আইনেই দেওয়া হবে।
 
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচগুলো এর আগে নির্দলীয় হলেও সবাই দেখেছেন, এতে দলীয় সমর্থন থাকে। দলের সব শক্তি তারা ওখানে নিয়োগ করে। তাই মনে করি না যে, এটি আইনি কাঠামোয় আনার ফলে অতিরক্তি কিছু হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো প্রার্থীদের গণতান্ত্রিক আচরণ। তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করলে কোথাও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
 
তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের জন্য বেশি সময় নেই। আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ওই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জন্যও দলীয়ভাবে নির্বাচনের আইন হলে সেভাবেই নির্বাচন হবে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উঠেছে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, আমি সেই বৈঠকে ছিলাম।
 
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচগুলো দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পৌরসভা নির্বাচনের আইনটির সংশোধন, সংসদ অধিবেশন না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার পরিকল্পনা চলছে। কেননা, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনটি আগামী ডিসেম্বরে সম্পন্ন হবে। তাই অন্য নির্বাচগুলোর আইন পরবর্তীতে সংশোধন করা হতে পারে।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরে ২৪৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশ পৌরসভার সংখ্যা ৩২৩টি। তাই অবশিষ্টগুলোর নির্বাচন মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে সম্পন্ন হবে। এদিকে ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপ আগামী বছরের ২৯ মার্চের মধ্যে শুরু করতে হবে। দেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউপি রয়েছে। জেলা পরিষদ গঠন হলেও এ নির্বাচনের বিধিমালা এখনো করা হয়নি। তাই নির্বাচন নির্ভর করছে সরকারের ইচ্ছার ওপর।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে মাঝমাঝি নারায়ণগঞ্জ ও এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। আর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া