adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতা পালাক্রমে ধর্ষণ করলো স্কুল ছাত্রীকে

jessore-news-04-.10.15-02ডেস্ক রিপোর্ট : চিরবৈরী রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দুই নেতার নেতৃত্বে জেলার চৌগাছায় এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। দিনের বেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে লম্পটরা এই অপকর্ম করে।
ছাত্রীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ তিনজনকে আটক করে। অন্য ধর্ষকদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।
এ পৈশাচিক ঘটনা রবিবার দুপুরে ঘটে। চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীার জন্য ধর্ষিত ছাত্রীকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষিতা কিশোরী চৌগাছার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আটকরা হলেন- চৌগাছা পৌর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ সানি, পৌর ছাত্রদলের সাত নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি উজ্জ্বল ও ছাত্রলীগকর্মী শিমুল। পারভেজ সানির (২৪) বাবা চৌগাছা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহরের কারিগরপাড়ার বাসিন্দা। এ ছাড়া উজ্জ্বল (২৪) শহরের পুরনো পোস্ট অফিসপাড়ার খায়রুলের ছেলে। আর শিমুল (২৩) নিরিবিলিপাড়ার ফরিদের ছেলে।
প্রত্যদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই স্কুলছাত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে চৌগাছা বাজারে অবস্থিত শাহাদত পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে গল্প করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ সানি ও ছাত্রদল নেতা উজ্জ্বল তাদের জোর করে তুলে নিয়ে পাশের ডাকবাংলোপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী আলামিনের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তারা ছেলেটিকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে পারভেজ সানি, উজ্জ্বল, শিমুল, আলামিনসহ বেশ কয়েক লম্পট কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। একপর্যায়ে নির্যাতিতার চিতকারে এলাকাবাসী ঘটনা টের পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক পারভেজ সানি, উজ্জ্বল ও শিমুলকে গ্রেফতার করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চৌগাছা হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শরিফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, ধর্ষিতা ছাত্রীকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিতসক কাজল মল্লিক ‘রেপ ভিকটিম’ হিসেবে নথিভুক্ত করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিতসক রবিউল ইসলাম জানান, সোমবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীা করা হবে।
সন্ধ্যায় চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শরিফ হোসেন। তিনি জানান, ভিকটিমের বাবা মেয়ের চিকিতসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তাই এখনো থানায় মামলা হয়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া