চামড়ার দাম কমালো ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : গতবারের চেয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে।
বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) প থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরি ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএলএলএফইএ আবু তাহের। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ, বিএইচএসএমএ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
চামড়ার দাম কমানো সম্পর্কে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, নতুন শিল্প নগরীতে কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ, কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ, রপ্তানি বাজারে মূলহ্রাস, পরিবেশ বান্ধব নয় অজুহাতে বাংলাদেশি চামড়ায় প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের অনীহা, ইউরো ও আরএনবির দরপতনে চামড়ার উদ্যোক্তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
এছাড়া গত বছর সংগ্রহ করা চামড়ার অর্ধেক এখনও রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি পাউন্ড চামড়ার মূল্য ছিল ১০৬.০৬ সেন্ট। বর্তমানে এর দাম ৭১ সেন্ট।
এর আগে গত রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকেও ব্যবসায়ীদের প থেকে কাঁচা চামড়া কমানোর কথা বলা হয়েছিল। গত বছরও চামড়ার দাম এক দফা কমানো হয়েছিল। ওই বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ঢাকার বাইরে এই দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
ওই সময় খাসির লবণযুক্ত চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এছাড়া ২০১৩ সালে নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কেনেন ৮৫-৯০ টাকায়। ঢাকার বাইরে তা কেনা হয় ৭৫-৮০ টাকায়। আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা। বকরির ৪০-৪৫ টাকা এবং মহিষের চামড়া ৪০-৪৫ টাকা।