জাবি ছাত্রলীগের জমি দখল -৮ নেতাকর্মী জেলে
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর শ্যামলীতে অবৈধভাবে জমি দখল করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি) শাখা ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার আদাবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনছুর হোসেন মানিক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মারুফ হাসান রাসেল এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ তাদের আটক করে। পরে মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম জুয়েল (জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), শেখ বনি আলম খান (ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), জুবায়ের রহমান তালহা (গণিত বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), অনিক কুমার সাহা (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), সৈয়দ লায়েব আলী (দর্শন বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ), মিনহাজুল আরেফিন (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ) ও অলিউন নবী অলিভ (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ)।
আটককৃতরা সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক সানোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আটক অন্য তিনজন হলেন- নাজনিন, সোহেল ও মো. সুমন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর আদাবরের আমান হাউজিং এলাকার ১০ নং রোডের একটি জমি দখল করতে গেলে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীসহ ১১জনকে আটক করা হয়। পরে তরিকুল হাসান ইমন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন। থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনছুর হোসেন মানিক জানান, তাদের বিরুদ্ধে ‘অনধিকার প্রবেশ ও মারধরের’ অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের মো. পাভেলের ছোট বোন অ্যাডভোকেট খুকি’র পে অবৈধ জমি দখল করতে যায় শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ১২-১৫ জন নেতাকর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের মধ্যে ৮ জনকে আটক করে, বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘যদি এ ধরনের কোনো ঘটনায় কোনো শিার্থী জড়িত থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিচার দাবি করছি। এছাড়া ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।