সাবধান – বাজারে কৃত্রিম ডিম
ডেস্ক রিপোর্ট : এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা আসল ডিমের সঙ্গে নকল ডিম বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ফলে বাজার দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি কৃত্রিম ডিম।
চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের সাজ্জাদ স্টোরে এ ধরনের নকল ডিম বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত দুইদিন পূর্বে ওই এলাকার সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা এক ডজন ডিম ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যায়। ডিম রান্না করার সময় তিনি বুঝতে পারলেন এখানে একটি প্লাস্টিকের ডিম রয়েছে। পরে সাজ্জাদ স্টোরে গিয়ে বিষয়টি জানালে সাজ্জাদ বলেন, শহরের পাল বাজারের পাইকারী বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে তিনি শত শত ডিম এক সঙ্গে ক্রয় করে থাকেন।
ডিম পাইকারী বিক্রেতা বাবুল জানান, তিনি ঢাকার গাজীপুর কাপ্পাসিয়া থেকে প্রায় ৫০ হাজার ডিম ক্রয় করে এনেছেন। সেখানে হয়তো তারা আসল ডিমের সঙ্গে নকল প্লাস্টিকের ডিম মিশায়েছেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর শহর শহরতলী বিভিন্ন হাট বাজারে শত শত খুচরা ডিম বিক্রি করে থাকে ুদ্র ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যবসায়ীরা শহরের নতুন বাজার, পুরাণবাজার ও পালবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে শত শত ডিম খাচার মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। রমযানের ঈদের পর থেকে একশ’ ডিমের দাম বৃদ্ধি পায় আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকা।
দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজসে, প্লাস্টিক কারখানার মালিকরা কৃত্রিম ডিম বানিয়ে আসল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন।
এক কুড়ি ডিম কিনলে, তাতে ২/৩টি কৃত্রিম ডিম মিশানো হচ্ছে। ক্রেতারা বাড়িতে নিয়ে ডিম সিদ্ধ করার পর অনেকে বুঝতে পারেন। আবার অনেকে বুঝতে পারেন না। কৃত্রিম ডিম আসল ডিমের সঙ্গে আগুনে সিদ্ধ হয়ে যায়। যারা ডিম ভাজি করেন, তারা ডিম ভাজি করার সময় কৃত্রিম ও আসল ডিমের পার্থক্য বুঝতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন হোটেল/রেস্টুরেন্টে আসল ডিম ভেজে বিক্রি করে ডিমের খোসা রেখে দেন। ওই খোসা এক শ্রেণির ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। তারা এসব খোসার ভেতরে ডিমের লালার মত পদার্থ প্রবেশ করিয়ে ভাঙ্গা ডিমের খোসা লাগিয়ে তা আইকা বা সাদা ঘাম দিয়ে জোড়া দেয়। যা বুঝার কোন উপায় থাকে না। এ ডিম ভাজলে অনেকটা রাবারের মত দেখায়। খাওয়ার সময় বুঝা যাবে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ তথ্য প্রদান করেন একজন ডিম ব্যবসায়ী ও একজন হোটেলের পরটা কারিগর।
এসব প্রতারণা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও তা প্রকাশ পায়নি বা বাসা বাড়ির গৃহিণীদের কাছে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বা বেশি করে প্রতারণা হওয়ায় তা প্রকাশ পাচ্ছে।
একজন প্লাস্টিক কারখানার মালিক এ ব্যাপারে জানান, এ ধরনের খোলা ডিম বহু বছর পূর্ব থেকে বানানো হচ্ছে। তবে এ ডিম আসল ডিমের পরিবর্তে বিক্রির জন্য নয়। এগুলো খেলনার জন্য ও সাজিয়ে রাখার জন্য তৈরি করা হয়। তবে যারা প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।