কোরবানীতে গরু সংকট হবে না- অতিরিক্ত থাকবে ২৬ লাখ পশু
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারত থেকে গরু না এলেও, এবার কোরবানীতে পশু সংকট হবে না। বরং কোরবানী দেয়ার পরও অতিরিক্ত থাকবে প্রায় ২৬ লাখ পশু। এমন পরিসংখ্যান দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
এবার ভারত থেকে গরু আসবে না, এমন ঘোষণার পর থেকেই, কোরবানী সামনে রেখে গরু পালন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন খামারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামারীরা পশুর ন্যায্য দাম পেলে, কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
প্রায় ছয় মাস ধরে ভারতীয় গরুর বাংলাদেশে প্রবেশ অনিয়মিত। বিশেষত ঐদেশের কট্টরপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর ঘোষণা, বাংলাদেশে আর গরু পাঠানো হবে না। এমন হুংকারের পর গরুর আসা যাওয়া বলতে গেলে প্রায় বন্ধই। যদিও বৈধ পথে ভারতীয় গরুর প্রবেশ কখনই ছিলো না বাংলাদেশে। তবে পুশব্যাক হতো বাংলাদেশ সীমান্তে, যার বিনিয়মে এদেশের সরকার গরু প্রতি মাশুল পেত ৫শ টাকা।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে, কোন সংকট হবে না, ভারতীয় গরু আমদানি না হলে। তাদের দাবি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে দেশেই। গেল বছর কোরবানী হয়েছিল ৭০ লাখ প্রাণি। এবছর কোরবানী যোগ্য পশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯৬ লাখ।
যে খামারীদের ঘামে দেশের কোরবাণির চাহিদা মিটবে, সেই খামারীরাও ভারতীয় গরু না আসায় দেখছেন আশার আলো।
ভারতীয় গরু না আসার এই পরিস্থিতি, বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হবার সূর্বণ সুযোগ তৈরী করেছে বলে মনে করেন প্রাণি বিশেষজ্ঞরা।
সস্তা গরু অসুস্থ আর মান সম্মত নয়। তাই সুযোগের সত ব্যবহারের জন্য সরকারী প্রনোদনার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত কষ্ট মেনে নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য গরু চাহিদা মেটাতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুনো এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।