লতিফ সিদ্দিকীর আসন শূন্য ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : মহানবী (স.) কে নিয়ে কটূক্তি করে বেকায়দায় পড়া সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদ থেকে সংবিধানের ৬৭(২) দফা অনুসারে তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮(৩) উপবিধি অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের বিষয়টি সংসদে অবহিত করা হলো।’
লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের দু’দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পরবর্তী এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই তার (লতিফ সিদ্দিকী) পদত্যাগ বিবেচিত হবে। তার আসন শূন্য সংক্রান্ত গেজেট এখন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী মহানবী (স.), হজ্ব ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করে বেকায়দায় পড়েন।
ওই ঘটনার পরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ ও দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার নামে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। দেশে ফেরার পর ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মামলায় নয় মাস কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের এই সাংসদকে। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান তিনি।
সেই সঙ্গে গত মঙ্গলবার সংসদে বক্তব্য দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।