যুক্তরাষ্ট্রের ২৯তম রাষ্ট্রপতির অবৈধ সন্তান ছিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ওয়ারেন হার্ডিংয়ের বিবাহ বহির্ভূত সন্তান ছিল। সম্প্রতি ওয়ারেন হার্ডিংয়ের ভাইপো ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ডিএনএ টেস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
ওয়ারেন হার্ডিং যুক্তরাষ্ট্রের ২৯তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯২০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ন্যান ব্রাইটন নামে এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ন্যান ব্রাইটন এলিজাবেথ ব্লেজিং নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সে সময় ন্যান ব্রাইটন মেয়ের পিতৃত্ব দাবি করলে ওয়ারেন হার্ডিং ও তার পরিবার এ দাবি অস্বীকার করে। এলিজাবেথ ব্লেজিংকে মিথ্যাবাদী ও চরিত্রহীন অপবাদ দেয়া হয়েছিল সে সময়ে। কিন্তু মিথ্যা বেশি দিন টেকে না। হার্ডিংয়ের নাতি নাতনিদের মাথায় খেয়াল চাপলো তাদের পূর্ব পুরুষ সত্য বলছে না মিথ্যা বলছে সেটি পরীা করে দেখার।
ডা: পিটার হার্ডিং হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ওয়ারেন হার্ডিংয়ের নাতি। তিনি ন্যান ব্রাইটনের নাতি জেমস ব্লেজিংকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ডিএনএ টেস্টে রাজি করান। জেমন ব্লেজিং এলিজাবেথ ব্লেজিংর সন্তান ও ন্যান ব্রাইটনের নাতি।
পরীা শেষে দেখা গেল হার্ডিং এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আরোপ করেছিলেন তার প্রেমিকা ন্যান ব্রাইটন, সেটি সত্য। ২০০৫ সালে হাডিংয়ের অবৈধ সন্তান এলিজাবেথ ব্লেজিং মারা যান। মৃত্যুর আগে এলিজাবেথ ব্লেজিংয়ের মা ন্যান ব্রাইটন ‘রাষ্ট্রপতির কন্যা’ নামে একটি বই লিখে যান। যেখানে তিনি বলেন, কেন তার মেয়ের জন্য তিনি কিছু রেখে যেতে পারলেন না। তার ভরণপোষণের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পিতৃত্ব দাবি করেছিলেন। সেই বই এলিজাবেথ ব্লেজিং তার সন্তানদের কাছে দিয়ে শেষ বিদায় নিয়েছিলেন।
এলিজাবেথ ব্লেজিংর পরিবার ও তার বংশধররা ডিএনএ টেস্টে রাজি ছিল না। কারণ তারা মনে করত এটা করলে তাদের মাতৃকুলের পূর্ব পুরুষের বদনাম করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ওয়ারেন হার্ডিংয়ের বংশধররা চায় তাদের পরিবার আরো বড় হোক। অতীতের গ্লানি মুছে ফেলে সবাই একসাথে থাকবে এটাই চায় হার্ডিংয়ের নাতি নাতনিরা। সবাই আমাদের পরিবারের এই স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশ্যেই এসব করা বলে জানায় হার্ডিং পরিবার।
ওয়ারেন হার্ডিং ১৯২০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও পুরো সময় দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ১৯২৩ সালে অফিস চলাকালীন অবস্থায় তার হৃদযন্ত্রে আক্রমণ ঘটে। তিনি মারা যান।