adv
১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে জ্বালানি খাতে

BBBBBBডেস্ক রিপোর্ট : আগামী বছর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সরকার বিনিয়োগ বাড়ানোর চিন্তা করছে। এ কারণে আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা রাখা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
 
চলতি বছরের বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ২৫৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা অনুন্নয়ন খাতে এবং উন্নয়ন খাতে ২ হাজার ২২২ কোটি ৯২ টাকা ব্যয়ের জন্য দেওয়া হয়েছিল। উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ দিয়ে গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধিতে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার, বর্তমান গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ নিরূপণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, বাপেক্স কর্তৃক ৫০০ কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ও ৪৫০ বর্গকিলোমিটার ত্রিমাত্রিক জরিপ কাজ এবং দুটি অনুসন্ধান কূপ ও চারটি উন্নয়ন কূপ খনন করে।
 
এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতায় ৬৫ হাজার ৫০০ টন ধারণক্ষমতার ১৩টি স্টোরেজ নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে বিপিসির স্টোরেজ নির্মাণ কাজ এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
 
নতুন বাজেটে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থছরের মত আগামী অর্থবছরেও বাজেট বরাদ্দের দিক থেকে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতই অগ্রাধিকার পাবে। জ্বালানি, বিদ্যুত ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এজন্য তাদের বরাদ্দ বাড়নো হবে। 
 
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’-এর সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিপিসির সক্ষমতা বাড়ানো প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিপিসির সক্ষমতা বাড়ানো উচিত। দেশের একমাত্র রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। নতুন বাজেটে এ বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।’
 
সূত্র জানায়, নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দের মধ্যে ৩ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাখা হচ্ছে জ্বালানি খাতের  উন্নয়নের জন্য। বাকি টাকা রাজস্ব খাতের জন্য, যা চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার কোটি টাকা বেশি।
 
সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি খাতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কারণে আসন্ন বাজেটে জ্বালানি বিভাগের বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আসন্ন বাজেটে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, সরকারি খাতের বড় বড় বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি নিশ্চয়তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
 
সূত্র জানায়, গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির চিন্তা করছে। এ কারণে অনেক দিন ধরে মহেশখালী দ্বীপে এলএনজি টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলএনজি টার্মিনাল নির্মানের উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
 
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুত ও গ্যাস সমস্যা। তাতক্ষণিকভাবে বিদ্যুতের সমস্যা কিছুটা সমাধান করা গেলেও গ্যাসের সমস্যা সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন করে গ্যাস পাওয়ার ব্যাপারে কোনো ভালো খবর আপাতত নেই। নতুন গ্যাস ফিল্ড অনুসন্ধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পরপর দুই বার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আবার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানো হবে। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকাতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেটে এ কাজের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আর-বি

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া