মন দিলো দেহ দিলো ৪ লক্ষাধিক টাকাও দিলো – সাবেকুন্নাহার স্বামী পেলো না
জামাল জাহেদ কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক চাকুরীজীবি মহিলার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার সাবেকুন্নাহার নামের এক চাকুরীজীবি মেয়ে এ অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি অভিযোগ করে জানায়, ২০০৭ সালের কোন এক সময় দুর সম্পর্কীয় আত্মীয়ের সুবাদে টেকনাফ খোনকার পাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র কলেজ পড়–য়া (?) আবুল কালামের শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার কালা মিয়ার মেয়ে চাকুরীজীবি সাবেকুন্নাহারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমে রূপ নেয়। এর পর থেকে প্রায়শই প্রেমিকার কর্মস্থল ঢাকার মোহাম্মদপুর সোমাইয়া ফ্যাশন এ দেখা করত আবুল কালাম। ওই সময় প্রেমিক কালাম তার কলেজে ভর্তি, ফিস ও মোবাইল ফোন, কখনোও কখনোও নিজের অর্থনৈতিক অসহায়ত্বকে তুলে ধরে বিভিন্ন অজুহাতে দফায় দফায় সাবেকুর কাছ থেকে টাকা নেয়।
এভাবে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অন্তত প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রেমিক আবুল কালাম। মেয়েটি তার প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও নানা বাহানা দেখিয়ে ৮ বছর যাবত তাকে অপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে অবশেষে গত ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ইং তারিখে ঢাকার আদাবর থানার ১০৩ ওয়ার্ডের একটি কাজি অফিসে তারা বিয়ে করে। যার রেজিষ্টার-এ, বালাম নং-৯৫/২০১৪ ইং, পৃষ্ঠা নং- ৭৫, তারিখ : ১০/০১/২০১৫। বিয়ের ৩দিন পর স্ত্রী সাবেকুন্নাহারের বাসা ছেড়ে সেই যে পালিয়ে গেল অদ্যবধি দেখা মেলেনি কালামের। অবশ্য মাঝে-মধ্যে ফোনে কালামকে পাওয়া গেলেও অশ্লীল অকথ্য ভাষায় কথা ছাড়া ভাল কোন কথা শুনতে পেতনা সাবেকুন।
প্রেমিকের খপ্পরে পড়ে চাকুরী থেকে পাওয়া সিংহভাগ টাকা হারিয়ে সাবেকুন্নাহার এখন দিশাহারা। সুষ্ঠু বিচারের আশায় চাকুরী থেকে ছুটি নিয়ে সাবেকুন এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।